পারস্য বিজয়

পারস্য বিজয় : মুসলিমদের পারস্য বিজয় ও পারস্যে ওমর (রা)-এর খিলাফত।

পারস্য বিজয় : মুসলিমদের পারস্য বিজয়, ফলাফল , ও পারস্যে হযরত ওমর (রা)-এর খিলাফত সম্প্রসারণ।
The Expansion of the Khilafat in Persia by Hazrat Umar (R)

৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে খলিফা আবু বকর (রা)-এর ইন্তেকালের পর তীক্ষ্ণ মেধাসম্পন্ন ও সাহসী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত হযরত ওমর (রা) খিলাফতের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এর ফলে রােমান ও পারস্য সাম্রাজ্যে মুসলিম বিজয়া অভিযানের নব যুগের সূচনা হয়। পি. কে. হিট্টি বলেন, “আবু বকরের সময় মুসলিম বাহিনী বিজয়যাত্রা শুরু করে এবং ওমরের সময় এসে এক অভাবনীয় সাফল্য লাভ করে ।” মূলত কতকগুলাে সুস্পষ্ট কারণেই হযরত ওমর বর্তমান ইরাক, ইরানসহ মধ্য এশিয়ার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত তৎকালীন পারস্য সাম্রাজ্যে খিলাফতের সম্প্রসারণ করেছিলেন।

প্রথমত, ইসলাম হলাে একটি সর্বজনীন কল্যাণধর্মী মতাদর্শ। ইসলামের ক্রমবর্ধমান প্রসার পারস্যবাসীর ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। অন্যদিকে মুসলমানরা পথের কাটা দূর করতে অভিযান চালায়।

দ্বিতীয়ত, মহানবি (স) এর পাঠানাে দূতকে পারস্য সম্রাট দ্বিতীয় খসরু পারভেজ অপমানিত করেন। এতে আন্তর্জাতিক নীতির অবমাননা করা হয়। ফলে প্রতিশােধস্বরূপ খলিফা আবু বকর (রা)-এর সময় মুসলমানরা পারস্যে অভিযান চালায়। হযরত ওমর (রা) এ অভিযান অব্যাহত রাখেন।

তৃতীয়ত, ফোরাত ও দজলা নদীর অববাহিকা ছিল খুবই সমৃদ্ধিশালী ও উর্বর। মরুবাসী আরবরা বহুদিন থেকে এ অঞ্চলের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করত। ঈর্ষান্বিত পারস্যবাসী মুসলমানদের অব্যাহতভাবে বাণিজ্য করতে দিতে রাজি ছিলনা। ফলে অর্থনৈতিক প্রয়ােজনেও মুসলমানরা পারস্যে অভিযান চালাতে বাধ্য হয়। চতুর্থত, রিদ্দা যুদ্ধের সময় বাহরাইনে যখন বিদ্রোহ সংঘটিত হয় তখন পারস্যবাসী বিদ্রোহীদের প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে। তাদের এ জঘন্য দুশমনির জন্য মুসলমানরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। মূলত খলিফা আবু বকর (রা)-এর সময় নানা কারণে পারসিকদের সাথে মুসলমানদের সংঘর্ষ শুরু হয়। হযরত ওমর (রা)-এর সময় ইসলাম ও মুসলিম সাম্রাজ্যের নিরাপত্তা বিধানের জন্য এ অভিযান প্রত্যাহার করা সম্ভব হয়নি।
পারস্যে অভিযানসমূহ।

ব্যাবিলনের যুদ্ধ :
খলিফা হযরত আবু বকর (রা)-এর সময় সেনাপতি মুসান্না ও খালিদ বিন ওয়ালিদের নেতৃত্বে মুসলমানরা পারস্যে অভিযান শুরু করে। এ সময় শৃঙ্খলের যুদ্ধ ও উইলিসের যুদ্ধ সংঘটিত হয় । উইলিসের যুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে মুসলমানরা হিরা রাজ্য দখল করে। খলিফার আদেশে সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদ সিরিয়ায় যান। এ সুযােগে পারস্য সম্রাট সেনাপতি হরমুজের নেতৃত্বে মুসান্নার বিরুদ্ধে একটি বিশাল বাহিনী প্রেরণ করেন। মুসলমানদের আক্রমণে শত্রুরা দিশেহারা হয়ে পালিয়ে যায় । ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দের শেষার্ধে সংঘটিত এ যুদ্ধ ব্যাবিলনের যুদ্ধ নামে পরিচিত। যুদ্ধের পর সেনাপতি মুসান্না খলিফার কাছে সীমান্ত রক্ষার জন্য আরও সৈন্য চেয়ে দূত পাঠান। এ সময় খলিফা আবু বকর (রা) মৃত্যুবরণ করেন। সেনাপতি মুসান্না যেদিন মদিনায় পৌছান সেই দিনই খলিফা আবু বকর (রা) মৃত্যুবরণ করেন।

See also  ফারুক উপাধি : হযরত ওমর (রা) কে ফারুক উপাধি দেওয়া হয়েছিল কেন?

নামারকের যুদ্ধ :
মুসলমানদের প্রতিহত করার জন্য পারস্যের সম্রাজ্ঞী বুরান দুখত খােরাসানের শাসনকর্তা মহাবীর রুস্তমকে পারসিক সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়ােগ দেন। অন্যদিকে মুসলিম সেনাপতি মুসান্নার অনুরােধে ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে হযরত ওমর (রা) খিলাফত লাভ করে আবু উবায়দার নেতৃত্বে একটি বিরাট সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করেন। এ দলটি হিরায় পৌছালে নামারক নামক স্থানে পারসিক বাহিনীর সাথে এক ভয়াবহ যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পারসিক সেনাপতি রুস্তমের বাহিনী পরাজিত হয়। ফলে মুসলমানরা হিরা রাজ্য পুনর্দখলে সক্ষম হয়।

জসরের যুদ্ধ :
নামারকের যুদ্ধে শােচনীয় পরাজয়ের গ্লানি মুছে ফেলার জন্য পারস্য বাহিনী রুস্তম বাহমানের নেতৃত্বে একটি বিশাল বাহিনী মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করে। মুসলিম বাহিনী ফোরাত নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থান নেয়। সেনাপতি আবু উবায়দা নদীর ওপর একটি নৌকার সেতু নির্মাণ করেন। সেনাপতি মুসান্নার পরামর্শ উপেক্ষা করে তিনি নদী পার হয়ে পারস্য বাহিনীর মােকাবিলা করেন। ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে সংঘটিত এ যুদ্ধ সেতু বা জসরের যুদ্ধ নামে পরিচিত। মুসলিম বাহিনী এ যুদ্ধে মর্মান্তিকভাবে পরাজিত হয়। সেনাপতি আবু উবায়দা নিহত হলে মুসান্না মুসলিম বাহিনীর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। প্রায় ৬০০০ মুসলিম সৈন্য নিহত হন। অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় মুসান্না আরব সীমান্তে ফিরে এসে শিবির স্থাপন করে কোনােরকমে আগে দখল করা স্থানসমূহ রক্ষা করেন।

বুয়ায়েবের যুদ্ধ :
সেতুর যুদ্ধে মুসলমানদের পরাজয় ও সেনাপতির মৃত্যুতে খলিফা ওমর (রা) মর্মাহত হন। ইবনে জাবিরের অধীনে তিনি একদল সৈন্য মুসলমানদের সাহায্যে পারস্যে প্রেরণ করেন। মুসান্নার নেতৃতে ৬৩৫ খ্রিষ্টাব্দে সংঘটিত বুয়ায়েবের যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী জয়ী হয়। পারসিক সেনাপতি মিহরান মাসরুইরাহ হামাদানি যুদ্ধে নিহত হন। এ বিজয়ের ফলে মুসলিম সাম্রাজ্যের সীমা মাদায়েন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। মেসােপটেমিয়ার নিম্নাঞ্চল ও ব-দ্বীপ অঞলও মুসলিম অধিকারে আসে।

কাদেসিয়ার যুদ্ধ : বুয়ায়েবের যুদ্ধে শশাচনীয়ভাবে পরাজিত হয়ে পারস্য সম্রাট তৃতীয় ইয়াজদিগার্দ মহাবীর রুস্তমের নেতৃত্বে বিশাল সেনাবাহিনী গঠন করেন। খলিফা ওমর (রা) সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসকে প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করে এক বিশাল বাহিনী কাদেসিয়ার প্রান্তরে প্রেরণ করেন। ৬৩৫ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে তিন দিনব্যাপী তুমুল যুদ্ধ হয়। আরবরা প্রথম দিনকে ‘বিশৃঙ্খলার দিন। বা ইয়ামুল আরমাস’ বলে অভিহিত করেন। দ্বিতীয় দিনটিকে বলা হয় সাহায্যের দিন বা ইয়ামুল আগওয়াহ’। তৃতীয় দিনটিকে বলা হয় দুর্দশার দিন বা ইয়ামুল উম্মাছ’। তৃতীয় দিন সারা রাত যুদ্ধ চলায় একে ‘লাইলাতুল হারির’ বলা হয়। এ যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী বিজয়ী হয়। ইসলামের ইতিহাসে কাদেসিয়ার যুদ্ধের গুরুত্ব ও ফলাফল তাৎপর্যপূর্ণ ও সুদূরপ্রসারী। এ যুদ্ধে পারসিক বাহিনীর বীর “সেনানী রুস্তম নিহত হলে পারসিকদের মেরুদন্ড ভেঙে যায়। এ বিজয়ের ফলে টাইগ্রিস নদীর পশ্চিম দিকসহ বিশাল উর্বর এলাকা মুসলমানদের অধিকারে আসে। ফলে তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জিত হয়। কাদেসিয়ার যুদ্ধ ছিল একটি মিমাংসাত্মক । এ যুদ্ধে জয়লাভের ফলে মুসলমানদের মনােবল ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। এটি তাদের পরবর্তী বৃহত্তর বিজয়ে উদ্বুদ্ধ করে।

See also  উমাইয়া সাধু বলতে কী বােঝায়? কোন খলিফাকে উমাইয়া সাধু বলা হয়?

মাদায়েন ও জালুলার যুদ্ধ :
কাদেসিয়ার যুদ্ধের পর সেনাপতি সাদ ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে পারস্যের রাজধানী মাদায়েন দখল করেন । পারস্য সম্রাট প্রাণভয়ে হুলয়নে পালিয়ে যান। মাদায়েন অর্থ দুই শহর। সেনুসিয়া ও টেসিফোনিয়া নামক দুটি শহরের সমন্বয়ে পারসিকদের রাজধানী গড়ে উঠেছিল বলে একে মাদায়েন বলা হতাে। সাদ পলাতক বাহিনীর পশ্চাদ্ধাবন করেন। ফলে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে সাদের বাহিনী বাবলের যুদ্ধে নাসিরজান ও হরমুজান দখল করে। এভাবে দজলা ও ফোরাতের মধ্যবর্তী এলাকায় মুসলমানদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর সাদ শত্রু বাহিনীর মোকাবিলা করে ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে জাললার যুদ্ধে পারসিকদের পরাজিত করে হলওয়ান অধিকার করেন। ফলে সমগ্র মেসোপটেমিয়া মুসলিম অধিকারে আসে। মাদায়েনকে ইরাকের রাজধানী করা হয়। ৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দে খলিফার নির্দেশে সাদ ইউফ্রেটিস নদীর পশ্চিম তীরে কুফা নামে একটি নগরীর গােড়াপত্তন করেন। একই বছর উবাল্লার কাছে শাত-ইল-আরবে বসরা নগরী নির্মাণ করা হয়। এর ফলে পূর্ব দিকে মুসলমানদের বিজয়াভিযান প্রেরণ সহজ হয়।

নিহাওয়ান্দের যুদ্ধ :
বারবার পরাজিত হয়ে পারস্য সম্রাট ইয়াজদিগার্দ পুনরায় তাবারিস্তান, জুরজান ,ইসপাহান, আজারবাইজান, সিস্তান প্রভৃতি অঞ্চল থেকে সৈন্য সংগ্রহ করে মুসলিম বাহিনীকে আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। এমতাবস্থায় হযরত ওমর (রা) পারস্য বাহিনীকে মােকাবিলা করার জন্য নুমান বিন মুকারানের নেতৃতে ৩০০০ সৈন্যের একটি বাহিনীকে পারস্যে প্রেরণ করেন। নুমান নিহাওয়ান্দে পৌছালে পারসিক বাহিনীর সাথে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সূচনা হয়, যা নিহাওয়ান্দের যুদ্ধ নামে পরিচিত। ৬৪১ খ্রিষ্টাব্দে সংঘটিত এ যুদ্ধে নুমান শহিদ হলেও মুসলিম বাহিনী জয়ী হয়। মুসলমানদের এ বিজয়কে মহাবিজয় (Victory of Victories) বলা হয়। কারণ এ যুদ্ধ জয়ের ফলে পারস্য ও মধ্য এশিয়ায় ইসলামের অগ্রযাত্রা সূচিত হয়। তবে এ যুদ্ধে বেশ কিছু কুরআনের হাফিজ শহিদ হন।

পারস্য বিজয়ের ফলাফল
মুসলমানদের পারস্য বিজয়ের যেমন কিছু ইতিবাচক ফলাফল ছিল, তেমনি এর কিছু নেতিবাচক প্রভাবও ছিল । ইতিবাচক ফলাফল হিসেবে দেখা যায়—

প্রথমত, এটি ছিল আর্যদের ওপর সেমেটিকদের বিজয়। জোরােষ্ট্রীয় ধর্মমতের ওপর একেশ্বরবাদী ইসলামের বিজয় । এ বিজয়ের ফলে পারস্য ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আসে।

দ্বিতীয়ত, পারস্য বিজয়ের ফলে মুসলমানরা সেখানকার সহজাত ও গৌরবময় ঐতিহ্যের সংস্পর্শে আসে। ফলে মুসলমানরা অপরিমিত ধনৈশ্বর্যের মালিক হয়।

তৃতীয়ত, এ বিজয়ের ফলে মুসলমানরা পারসিক সমরকৌশলের সাথে পরিচিত হয়, যা তাদের পরবর্তী সমরাভিযানে সাফল্যের সুযােগ এনে দেয় ।

চতুর্থত, সমকালীন বিশ্বে পারস্য ছিল এক উন্নত সভ্যতা ও সংস্কৃতির লীলাভূমি। পারস্য বিজয় এর ফলে মুসলমানরা এ উন্নত সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহকে পরিণত হয়। পারস্য বিজয় পারসিক সংস্কৃতি মুসলিম সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে।

See also  প্রচলিত রাজনীতি ও ইসলামী রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য

পঞ্চমত, পারস্য বিজয় মুসলমানদের মধ্যে যে আত্মপ্রত্যয়ের জন্ম দিয়েছিল তা মুসলমানদের পরবর্তী বিজয়ে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল।। পারস্য বিজয়ের নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যে রয়েছে—

প্রথমত, পারস্য বিজয় এর ফলে মুসলমানরা অগণিত ধনৈশ্বর্যের মালিক হয়। পারস্য সমাজের উচ্ছঙ্খল ও বিলাসী জীবনধারা মুসলিম সমাজকে কলুষিত করে। তাদের নৈতিক জীবনে অবক্ষয় দেখা দেয়। পাপ-পঙ্কিলতা আরব মুসলিম রক্তের বিশুদ্ধতা নষ্ট করে এবং ক্রমান্বয়ে তাদের ধ্বংসের পথকে উন্মুক্ত করে তােলে।

দ্বিতীয়ত, পারস্য বিজয় এর ফলে মুসলমানদের মধ্যে শিয়া সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন পথমতের সৃষ্টি হয়। এর ফলে মুসলিম সমাজের ঐক্য ও সংহতি বিপন্ন হয়। মুসলিম সাম্রাজ্যের জৌলুস ও গৌরব ক্রমান্বয়ে ম্লান হয়ে পড়ে।

 

 

 

আরো জানুন:

 জ্ঞানের দরজা : হযরত আলী (রা) কে জ্ঞানের দরজা বলা হয় কেন?

বায়তুল মাল বলতে কী বােঝায়? বায়তুল মাল কে প্রতিষ্ঠা করেন?

জুন্নুরাইন বলতে কী বােঝায়? হযরত ওসমান (রা) কে জুন্নুরাইন বলা হয় কেন?

উষ্ট্রের যুদ্ধ কী? ইসলামের ইতিহাসে উষ্ট্রের যুদ্ধ কেন সংঘটিত হয়েছিলো?

হযরত ওমর (রা) এর কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থা ও বায়তুল মাল প্রতিষ্ঠা ।

হযরত ওমর (রা) এর প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থা।

দিউয়ান : হযরত ওমর (রা) এর দিউয়ান ও রাজস্ব প্রশাসন।

খালিদ বিন ওয়ালিদ ইতিহাসে বিখ্যাত কেন? ইসলামের ইতিহাস ।

ভণ্ডনবি কারা? ইসলামের ইতিহাসে Apostasy Movement বলতে কী বোঝায়?

ত্রাণকর্তা : হযরত আবু বকর (রা) কে ইসলামের ত্রাণকর্তা বলা হয় কেন?

ফারুক উপাধি : হযরত ওমর (রা) কে ফারুক উপাধি দেওয়া হয়েছিল কেন?

  মজলিস উস শুরা বলতে কী বোঝায় ,মজলিস উস আম ও মজলিস উস খাস ।

 জিজিয়া কী? ইসলামি রাষ্ট্রে জিজিয়া কেন প্রবর্তন করা হয়েছে?

 জামিউল কুরআন : হযরত ওসমান (রা) কে জামিউল কুরআন বলা হয় কেন?

গণি উপাধি : ২য় ইসলামের খলিফা হযরত ওসমান (রা) কে গণি বলা হয় কেন?

হযরত ওসমান (রা) কীভাবে পানীয় জলের অভাব দূর করেন?

শিয়া কারা? ইসলামের ইতিহাসে শিয়া বলতে কাদেরকে বোঝায়?

খারেজি সম্প্রদায় : ইসলামের ইতিহাসে খারেজী সম্প্রদায়ের উৎপত্তির কারণ কী?

পারস্য বিজয় : মুসলিমদের পারস্য বিজয় ও পারস্যে ওমর (রা)-এর খিলাফত।

খুলাফায়ে রাশেদীন বলতে কী বােঝায় ? খুলাফায়ে রাশেদীন কারা ?

খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা হয় কেন?

ওমর রা. আবু বকর রা. কে প্রথম খলিফা হিসেবে নির্বাচিত করতে চাইলেন কেন?

হযরত আবু বকর (রা) কে রাসুল (স) সিদ্দিক উপাধিতে ভূষিত করেন কেন?

রিদ্দার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল কেন?

স্বধর্মত্যাগী আন্দোলন বলতে কী বােঝায়?

বাইজেন্টাইন শহর : বাইজান্টাইন অঞ্চলে ওমর (রা)-এর খিলাফত সম্প্রসারণ।

খালিদ ইবনে ওয়ালিদ : ইসলামের সেবায় খালিদ ইবনে ওয়ালিদের অবদান ।

উসমান (রা.) এর শাহাদাতের কারণ ও ফলাফল আলােচনা কর।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *