লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, লেবু ও হলুদ দিয়ে ফর্সা ত্বক পাওয়ার উপায়।

লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, লেবু ও হলুদ দিয়ে ফর্সা ত্বক পাওয়ার উপায়।

ত্বক ও চুলের যত্নের জন্য লেবু বেশ উপকারী, জানালেন আফরিন মৌসুমি, যিনি হার্বস আয়ুর্বেদিক স্কিন কেয়ার ক্লিনিকের একজন আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ । তিনি বলেন, লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড। তাই লেবুর সঠিক ব্যবহার না জেনে ত্বকে সরাসরি প্রয়োগ করা উচিত হবে না। যার ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি । অনেক সময় ত্বক লাল হয়ে যেতে দেখা যায় । এছাড়া ক্ষেত্র বিশেষে বলিরেখাও পড়তে পারে। তবে ত্বকের ধরণ বুঝে নিয়ম মেনে লেবুর ব্যবহার করতে পারলে ত্বক হয়ে উঠবে সুন্দর।
তবে ত্বকের ধরণ বুঝে নিয়ম অনুসারে লেবু ব্যবহার করলে ত্বক হয়ে উঠবে সুন্দর প্রথম আলো প্রতিবেদন।

প্যাক হিসেবে পাতিলেবুর ব্যবহারই উত্তম । তবে এ ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে এ ধরনের লেবু সারা বছর ধরে পাওয়া যায় না। তাই এ সমস্যা সমাধানের জন্য অন্য লেবুও কাজে লাগাতে পারেন। রূপবিশেষজ্ঞ আফরিন মৌসুমী আমাদেরকে জানালেন রূপচর্চায় লেবুর সঠিক ব্যবহার।তৈলাক্ত ত্বক দেখতে কালচে ও মলিন দেখায়। ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের জন্য এই প্যাক খুবই কার্যকরী ।

গ্রেডারের দ্বারা লেবুর খোসার সবুজ অংশটা কুচি কুচি করে কেটে নিতে পারেন। অতঃপর কুচি করা খোসা ভালোভাবে বেটে নিন (পেস্ট করুন)। ১ চা চামচ লেবুর খোসার পেস্ট, ৬-৭ টি তুলসীপাতা , ৩-৪ টি পুদিনাপাতা ও ২ টেবিল -চামচ মুলতানি মাটি পেস্ট করে নিন (পানি ছাড়া)। তৈরিকৃত পেস্টের সম্পূর্ণটা মুখে মেখে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। প্রতি সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। অতিসংবেদনশীল ত্বকে লেবুর রস ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবলম্বন করতে অধিক সতর্কতা। অতিসংবেদনশীল ত্বকে লেবুর রস ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবলম্বন করতে হবে অধিক সতর্কতা প্রতিবেদন প্রথম আলো পত্রিকা।

স্বাভাবিক ও শুষ্ক ত্বকের জন্য ১ টেবিল -চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ মধু, ১টি ডিমের কুসুম, ২ টেবিল চামচ গমের ময়দা ও ৬-৭ ফোঁটা জলপাই তেল একত্রে মিশ্রিত করে প্যাক তৈরি করুন এবং পুরো মুখে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন । ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন। সপ্তাহে দুই-তিন দিন এই প্যাক ব্যবহারের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে এবং বলিরেখা দূর হয়ে যাবে ।

অতিসংবেদনশীল ত্বকে লেবুর রস ব্যবহারের ফলে চুলকানি সমস্যা হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে । তাই অতিসংবেদনশীল ত্বকে লেবুর রস ব্যবহার না করে একটু ভিন্নভাবে লেবু ব্যবহার করা যেতে পারে । লেবুর খোসার ভেতরের সাদা অংশ ( লেবুর ভেতরের সাদা পর্দার মতো অংশ এবং সবুজ অংশ বাদ দিয়ে) দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন । ১টি লেবু থেকে ১ টেবিল -চামচ পরিমাণ পেস্ট পাওয়া যেতে পারে । ১ চা-চামচ পেস্টের সঙ্গে ১ চা চামচ মুগডালের বেসন, ভিটামিন ই ক্যাপসুল (ক্যাপসুলের অভ্যন্তরে থাকা তরল ওষুধ) ও কয়েক ফোটা গ্লিসারিন একত্রে মিশ্রিত করে প্যাক তৈরি করুন।

See also  ত্বক ফর্সা রাখতে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যা মেনে চলা বাধ্যতামূলক।

অতিসংবেদনশীল ত্বকে লেবুর রস ব্যবহারের ফলে চুলকানি সমস্যা হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য সমস্যা তো আছেই । তাই অতিসংবেদনশীল ত্বকে লেবুর রস ব্যবহার না করে একটু ভিন্নভাবে লেবু ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্যাক ব্যবহার করে ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। প্রতিসপ্তাহে দুই,এক দিন ব্যবহার করতে পারেন। মুগডালের বেসন অতিসংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে অতি উত্তম ক্লিনজার। অনেক সময় অতিসংবেদনশীল ত্বকে বলিরেখা ও তৈলাক্ত ভাব এক সাথে দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য এই প্যাক বেশ কার্যকরী । ক্লিনজার বা বডি স্ক্রাব প্যাক হিসেবে আধা কাপ লেবুর রস, ২ টি লেবুর খোসা (২টি লেবু থেকে কমবেশি এই পরিমাণ রস পাওয়া যায়), ৬ চা চামচ হলুদের রস, ৬ চা চামচ সুজি,২ চা চামচ জলপাই তেল, ২টি ডিমের সাদা অংশ ও ৩ চা চামচ বাদামি চিনির মিশ্রণ শরীরের ত্বকে প্রতি সপ্তাহে এক দিন ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহারের ১০-১৫ মিনিট পর ত্বকের সাথে এঁটে যাওয়া অংশ তোয়ালে দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। এই মিশ্রণটি ব্যবহারের ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে, ত্বকের বিভিন্ন স্থানের রঙের অসামঞ্জস্য দূর হবে, ত্বকের মৃত কোষ সরে যাবে ।

লেবুর খোসায় রয়েছে প্রয়োজনীয় তেল। লেবুর খোসার দ্বারা তৈরীকৃত প্যাক ব্যবহারের ফলে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল এবং দূর হয়ে যাবে ত্বকের বিভিন্ন স্থানের রঙের অসামঞ্জস্যতা
লেবুর খোসায় রয়েছে প্রয়োজনীয় তেল। লেবুর খোসার দ্বারা প্রস্তুতকৃত প্যাক ব্যবহারের ফলে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল এবং দূর হয়ে যাবে ত্বকের বিভিন্ন স্থানের রঙের অসামঞ্জস্যতা প্রতিবেদন প্রথম আলো পত্রিকা।

যেকোনো রকমের ত্বকের জন্য এই স্ক্রাব বেশ কার্যকর। তবে সরাসরিভাবে হলুদের রস ব্যবহার করা উচিত নয়। হলুদের রসের সঙ্গে সরাসরি লেবু মিশ্রিত করা হলে ত্বকে জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই আগে থেকেই হলুদ ছেঁচে রস বের করে নিতে হবে অতঃপর ২-৩ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এভাবে ফুটানো রস সাত দিন পর্যন্ত ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করা যায়। বিশেষকরে ডিপ ফ্রিজে আরও বেশি দিন রাখা সম্ভব । লেবুর খোসায় রয়েছে প্রয়োজনীয় তেল। বাদামি চিনির বদলে সাদা চিনি ব্যবহার করতে পারেন। তবে বাদামি চিনিই বেশি কার্যকরী।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *