[et_pb_section fb_built=”1″ _builder_version=”4.9.0″ _module_preset=”default” global_colors_info=”{}”][et_pb_row _builder_version=”4.9.0″ _module_preset=”default” global_colors_info=”{}”][et_pb_column type=”4_4″ _builder_version=”4.9.0″ _module_preset=”default” global_colors_info=”{}”][et_pb_text _builder_version=”4.9.10″ _module_preset=”default” text_font=”Times New Roman||||||||” text_text_color=”#000000″ text_font_size=”17px” global_colors_info=”{}”]
اعرف الحديث . بين الفرق بين الحديث والخبر والأثر
حديث (হাদিস) এর সংজ্ঞা দাও। الحديث – الخبر- الأثر এর মধ্যে পার্থক্য বর্ণনা কর।
উপস্থাপনা : আল্লাহ তায়ালার বাণী- و ما ينطق عن الهوى ان هو الا وحى يوحى দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, হাদীস (হাদিস) ও এক প্রকার অহী। এটা শরীয়তের অন্যতম উৎস। একটি আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে হাদীসের ভূমিকা অনন্য। খবর, আসার, সুন্নাত এ শব্দ তিনটি হাদীসেরই সমার্থবোধক শব্দ। তবে মুহাদ্দিসীনে কেরাম এ চারটি শব্দের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য নির্ণয় করেছেন। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা পেশ করা হলো।
معنى الحديث لغة
الحديث – (হাদিস) এর আভিধানিক অর্থ : الحديث শব্দটি اسم তথা বিশেষ্য, এটা একবচন, বহুবচনে احاديث মূল অক্ষর ح د ث এর অর্থ হলো :
১. القول তথা কথা।
২. الوعظ তথা উপদেশ।
৩. القصة তথা কাহিনী, ঘটনা।
৪. الخبر তথা সংবাদ বা তথ্য ।
৫. الجديد তথা নতুন।
৬ القران তথা আল কুরআন।
৭. النصيحة তথা উপদেশ।
৮. ضد القديم তথা পুরাতনের বিপরীত।
৯. অভিনব।
১০. আধুনিক।
১১. সাম্প্রতিক।
معني الحديث شرعا
حديث (হাদিস) এর শরয়ী সংজ্ঞা : حديث -এর পারিভাষিক সংজ্ঞা দিতে গিয়ে হাদীসবিশারদগণ বিভিন্ন মত ব্যক্ত করেছেন। যেমন-
(১).মীযানুল আখবার প্রণেতা বলেন-الحديث هو اعم من ان يكون قول الرسول (صلعم) و الصحابي و التابى و فعله و تقريره অর্থাৎ, সাধারণ অর্থে রাসূল (স), সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীগণের বাণী এবং রাসূল (স)-এর কাজ ও মৌনসম্মতিকে হাদীস (হাদিস) বলে।
(২). জমহুর মুহাদ্দিসীনের মতে- الحديث ما اضيف الى النبى (صلعم) من قول او فعل او تقرير و كذلك يطلق على قول الصحابى و التابعى و فعلهم و تقريرهم অর্থাৎ, রাসূল (স)-এর কথা, কাজ ও মৌনসমর্থন, অনুরূপ সাহাবী ও তাবেয়ীগণের কথা, কাজ ও মৌনসমর্থনকেও হাদীস (হাদিস) বলে।
(৩). শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (র) বলেন الحديث يطلق على قول النبي (ص) وفعله وتقريره
(৫). কোনো কোনো মুহাদ্দিস বলেন: الحديث هو قول الرسول وفعله وتقريژه وصفته و حركاته وسگوناته
উপরিউক্ত সংজ্ঞাগুলো বিশ্লেষণ করলে বলা যায়, রাসূল (স)-এর কথা, কাজ, মৌনসম্মতি ও গুণাবলিকে হাদীস বলে। অনুরূপভাবে সাহাবী এবং তাবেয়ীগণের কথা এবং কাজকেও হাদীস (হাদিস) বলে।
الفرق بين الحديث والخبر والاثار والشنة:
হাদীস (হাদিস) , খবর, অসার ও সুন্নাত–এর মধ্যে পার্থক্য :
আপাত দৃষ্টিতে হাদীস (হাদিস) , খবর, আসার ও সুন্নাতের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য দেখা না গেলেও হাদীসবিশারদগণ এ চারটি বিষয়ের মধ্যে তুলনা তথা পার্থক্য করার চেষ্টা করেছেন। নিম্নে এ সম্পর্কিত কয়েকটি পার্থক্য তুলে ধরা হলো।
(ক) আভিধানিক পার্থক্য :
১. حديث (হাদিস) শব্দটি একবচন, বহুবচনে احاديث এর অর্থ হলো الوعظ القصة الجديد القول তথা কথা, নতুন, ঘটনা, উপদেশ ইত্যাদি।
২.خبر শব্দটিও একবচন, বহুবচনে اخبار মূল অক্ষর خ ب ر এর অর্থ- النباء তথা সংবাদ।
৩.الثر শব্দটিও اسم এর অর্থ- العلامة তথা চিহ্ন, নিদর্শন ইত্যাদি।
৪. السنة-এর অর্থ হলো- পথ, পদ্ধতি। এটি একবচন, বহুবচনে سنن সুতরাং দেখা যাচ্ছে, আভিধানিক দিক থেকে চারটি শব্দের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
(খ) পারিভাষিক পার্থক্য :
১. নুযহাতুন নযর গ্রন্থকারের মতে – الحديث ما جاء عن النبي (ص) والاثار ما جاء عن الصحاب والتابعين والخبر هو ما جاء من غيرهما۔ অর্থাৎ, নবী করীম (স) থেকে যা এসেছে তা হাদিস, সাহাবীগণের থেকে যা এসেছে তা আসার এবং রাসূল (স) ও সাহাবী ব্যতীত অন্যদের থেকে যা আসে তাকে খবর বলে।
(২) জমহুর মুহাদ্দিসীনের মতে- لا فرق بينهم অর্থাৎ, শব্দগুলোর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সব শব্দ সমানভাবে রাসূল (স), সাহাবী ও তাবেয়ীর কথা, কাজ ও সমর্থনকে বোঝায়।
(৩) কারো কারো মতে, রাসূল (স)-এর কথা, কাজ ও সমর্থনকে হাদিস আর সাহাবী ও তাবেয়ীর কথা, কাজ ও সমর্থনকে আসার ও খবর বলে। قا لاثر و الخبر مترادفان
(৪) কেউ কেউ বলেন, হাদীস হলো রাসূল (স) এবং তাঁর সাহাবী ও তাবেয়ীর কথা, কাজ, সমর্থন ও অনুমোদন। আর রাজা-বাদশাহদের কাহিনী ও প্রাচীনকালের ঘটনাবলিকে খবর বলে।
(৫)কারো কারো মতে, হাদীস ও খবরের মধ্যে عموم و خصوص مطلق -এর সম্পর্ক। অর্থাৎ যা হাদিস তা-ই খবর কিন্তু সকল খবর হাদীস হওয়া জরুরি নয়। হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী (র) এ মতেরই সমর্থক। তিনি বলেন كل حدیث خير وبغض الخبر حديث وبعض الخبر ليس بحديث
(৬) হাদিস হলো মহানবী (স) যা করেছেন, বলেছেন এবং যা কিছু সমর্থন করেছেন; চাই এসব বক্তব্য আমল করা জরুরি হোক কিংবা অনাবশ্যক হোক। আর সুন্নাত হলো মহানবী (স)-এর কথা, কাজ ও সমর্থনের অংশসমূহের মধ্যে যেগুলো উম্মতের আমলি জিন্দেগীতে প্রয়োজন। যেমন রাসূল (স)-এর বাণী تركت فيكم امرين لن تضلوا ما إن تمسكتم بهما كتاب الله وسنة نبيه
উপসংহার : আলোচ্য বিষয়াবলিতে শব্দগত পার্থক্য থাকলেও আমলের দিক থেকে এগুলোতে কোনো প্রভেদ নেই। রাসূলের হাদিসে তথা সুন্নাতের ওপর আমল করা আমাদের কর্তব্য।
[/et_pb_text][/et_pb_column][/et_pb_row][/et_pb_section]