আসমাউল হুসনা

আসমাউল হুসনা:- আল্লাহ তায়ালার আসমাউল হুসনা নামের ফযিলত।

আল্লাহ তায়ালার আসমাউল হুসনা নামের ফযিলত।
আল্লাহ তায়ালার আসমায়ে হুসনা যেগুলাের সাথে আমাদের দুআ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সেগুলাে হলাে নিরানব্বইটি। যে ব্যক্তি সেগুলাে মুখস্থ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ হবে। – (বুখারী, মুসলিম, ইবনে হিব্বান, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, হাকেম)
ইমাম বুখারী (রহ) একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। তার মর্ম এই যে ব্যক্তি আসমায়ে হুসনা (আল্লাহর নিরারই নাম) মুখস্থ করবে, সে বেহেশতে প্রবশ করবে ।- (বুখারী) |

هوالله الذي لا اله الا هو الرحمن الرحيم الملك القدوس السلام المؤمن المهيمن العزيز الجبار المتكبر الخالق البارئ المصور الغفار القهار الوهاب الرزاق الفتاح العليم القابض الباسط الخافض الرافع المعزالمذل السميع البصير الحكيم العدل اللطيف الخبير الحليم العظيم الغفور الشكور العلي الكبير الحفيظ المقيت الحسيب الجليل الكريم الرقيب المجيب الوسع الحمكيم الودود المجير الباعث الشهيد الحق الوكيل القوي المتين الولي الحميد المحيد المحصي المبدي المعيد المحي الميمت الحي القيوم الواجد الماجد الواحد الأحد الصمد القادر المقتدى المقدم المؤخر لأول الأخر الظاهر الباطن الوالي المتعالی البر التواب المنتقم العفو الرؤوف مالك الملك ذوالجلال والاكرام المقسط الجامع الغنى المغني المانع الضار النافع النور الهادي البديع الباقى الوارث الرشيد الصبور و الله الاسماء الحسني فادعوه بها.

(তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, হাকেম, ইবনে হিব্বান)

“আল্লাহ তায়ালার অনেক সুন্দর সুন্দর নাম রয়েছে। তােমরা সেগুলাে দ্বারা তাঁকে ডাক।” আর বান্দার উচিত আসমায়ে হুসনার অর্থ নিজের মধ্যে অর্জন করা এবং এ নামগুলাের গুণে গুণান্বিত হওয়া।
আল্লাহ তায়ালার সত্তাবাচক নাম, যার অস্তিত্ব আবশ্যক। এ নামটি তিনি ছাড়া অন্য কারাে জন্য প্রযােজ্য নয়। আসল অর্থেও নয় এবং রূপক অর্থেও নয়। এ জন্য এ নামটি সর্বোত্তম ও শ্রেষ্ঠ। কোন কোন আলিমদের মতে এটিই হল। ইসমে আজম।
করণীয় : যে ব্যক্তি নামটির সাথে সম্পর্ক করবে। হৃদয় কুহুর তার স্মরণে বিভাের রাখবে। তিনি ছাড়া কারাে প্রতি আকৃষ্ট হবে না। অন্য কারাে নিকট আশা রাখবে না। তাকে ছাড়া কাউকে ভয় করবে না।

الله : (আল্লাহু) আল্লাহ পাকের নাম।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা: যে ব্যক্তি প্রতিদিন এক হাজার বার يا الله পাঠ করবে, তার দৃঢ়তা ও ইয়াকীন লাভ হবে। যে দূরারােগ্য রােগী অধিকহারে يا الله এর ওযীফা পাঠ করবে এবং তার পর আরােগ্যের দুআ করবে, তার পূর্ণ আরােগ্যতা লাভ হবে।

الرحمن: (আর রাহমানু) পরম করুণাময়।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা: যে ব্যক্তি প্রতিদিন প্রতি নামাজের পরে يا الرحمن একশত বার পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার অন্তর থেকে সব ধরনের কঠোরতা ও অলসতা দূর হয়ে যাবে।

الرحيم: (রাহীমু) অতি দয়ালু।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা : প্রতি নামাজের পর যে ব্যক্তি, يا الرحيم ১০০বার পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ পৃথিবীর সকল বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকবে এবং সকল সৃষ্টজীব তার উপর দয়াশীল হয়ে যাবে।

الملك: (আল-মালিকু) প্রকৃত সম্রাট।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি প্রতিদিন এ নামটি কুদ্দূসুনের সাথে মিলিয়ে পড়বে, যদি রাষ্ট্রপতি হয়, তাহলে তার রাষ্ট্র সর্বদা বাকি থাকবে। আর যদি রাষ্ট্র প্রধান না হয় তাহলে তার আত্মা আল্লাহর আনুগতশীল হয়ে যাবে। যদি ইজ্জত ও সম্মানের জন্য পড়া হয়, তাহলে ফলপ্রসূ হবে । যে ব্যক্তি প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর يا مالك অধিকহারে পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে ধনবান করে দেবেন।

القدوس: (আল-কুদ্দূসু) সব দোষ থেকে মুক্ত।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি সূর্য হেলার পর এ নামটি অধিকহারে পড়বে, ইনশাআল্লাহ তার অন্তর আধ্যাত্মিক ব্যাধি থেকে মুক্ত হয়ে যাবে । জুমার নামাজের পর এ নামটি ছুব্বূহুনের সাথে মিলিয়ে রুটির টুকরার উপর লিখে ভক্ষণ করলে সে ফেরেশতার গুণাবলীর অধিকারী হয়ে যাবে। শক্রর কবল থেকে পলায়নের সময় যে পরিমাণ সম্ভব পড়বে। কোন মুসাফির রাস্তায় সর্বদা পড়তে থাকলে রাস্তার ক্লান্তি ও অবসাদ তাকে স্পর্শ করতে পারবে না । তিনশত বার মিষ্টান্ন জাতীয় বস্তুর উপর পড়ে শক্রকে আহার করিয়ে দিলে সে দয়াশীল হয়ে যাবে।

السلام: (আস-সালাম) যাবতীয় ক্রটি থেকে মুক্ত।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি অধিকহারে এ নামটি পাঠ করতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ সকল বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকবে। যে ব্যক্তি এ নামটি একশত পনের বার কোন রুগীর উপর পড়ে ফুৎকার দেবে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে সুস্থতা ও আরােগ্য দান করবেন। হাদীসে এসেছে, এ নামটা সর্বদা যে পড়তে থাকে, সে নির্ভীক হয়ে যাবে।

المهيمن: ( আল-মুহাইমিনু) নিরাপত্তা ও ঈমানদাতা।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি কোন ভয়-ভীতির সময় ৬৩০ বার এ নামটি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ সে সব ধরনের ভয়-ভীতি ও অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে। যে ব্যক্তি এ নামটি পাঠ করবে বা লিখে নিজের সাথে রাখবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন। কেউ তাকে কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তার বাহ্যিক ও গােপন আল্লাহ তায়ালার নিরাপত্তায় রাখবেন। যে ব্যক্তি বেশী বেশী পড়বে, সৃষ্টজীব তার আনুগত্যশীল হয়ে যাবে।

العزيز: (আল-আযীযু) পরাক্রমশালী ।
উপকারিতা : চল্লিশ দিন পর্যন্ত যে ব্যক্তি এ নামটি চল্লিশ বার পাঠ করবে আল্লাহ তাকে সম্মানী ও অমুখাপেক্ষী বানিয়ে দেবেন। ফজরের নামাজের পর যে ব্যক্তি চল্লিশ বার এ নামটি পাঠ করবে, সে কারাে মুখাপেক্ষী হবে না । অসম থাকলে সম্মানী হবে। এ নামটির বিস্ময়কর আরাে বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

الجبار: (আল-জাব্বারু) মহা প্রতাপশালী।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি প্রতি দিন সকাল-বিকাল ২২৬ বার এ নামটি পাঠ করবে, সে জালিমদের অত্যাচার ও ক্রোধ থেকে নিরাপদ থাকবে। যে ব্যক্তি সর্বদা এ নামটি পাঠ করবে, সৃষ্টজীবের দোষ-ত্রুটি এবং অসৎ ধারণা থেকে মুক্ত থাকবে। আংটিতে অংকন করে পরিধান করলে ইনশাআল্লাহ তার ভয়-ভীতি মানুষের হৃদয়ে সৃষ্টি হবে।

See also  الرحيم: (আর রাহীমু) আসমাউল হুসনা নামের ফযিলত।

مسبعات عشر: এর দ্বারা দশটি বস্তু উদ্দেশ্য, যেগুলােকে বিসমিল্লাহর সাথে সাত বার পাঠ করা হয়।
(এক) সূরা ফাতিহা
(দুই) সূরা ফালাক
(তিন) সূরা নাস,
(চার) সূরা ইখলাস,
(পাঁচ) সূরা কাফিরূন
(ছয়) আয়াতুল কুরসী,
(সাত) কালিমায়ে তামজিদ,
(আট) দুরূদ শরীফ,
(নয়) নিম্নের দুআটি ?

اللهم اغفرلي ولوالدي وارحمهما كما ربياني صغيرا اللهم اغفرلي لجميع المؤمنين والمؤمنات والمسلمين و المسلمات الحياء منهم و الاموات انك مجيب الدعوات يا قاضي الحاجات ويارافع الدرجات برحمتك يا ارحم الراحيم

(দশ) সর্বশেষে নিম্নের দুআটি:

اللهم يارب افعل بي وبهم عاجلا واجلا في الدين والدنيا والأخرة ما أنت له أهل وتفعل بنا یامولانا ما نحن له أهل انك غفور حليم جواد كريم رؤوف رحيم

المتكبر: (আল-মুতাকাব্বিরু) অহংবিদ, মর্যাদাবান বলে ঘাড় উঁচু করা, বড়ত্ব প্রকাশ করা।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি অধিকহারে নামটি পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে সম্মান ও বড়ত্ব দান করবেন। এ নামটি স্বীয় স্ত্রীর সাথে সহবাসের পূর্বে দশবার পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে পুণ্যবান সন্তান দান করবেন। যদি প্রতিটি কাজের শুরুতে অধিকহারে এ নামটি পাঠ করে তাহলে ইনশাআল্লাহ সফল হবে।

الخالق: (আল-খালিকু) সৃষ্টিকর্তা, আবিষ্কারক ।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি সাত দিন পর্যন্ত ধারাবাহিক ১০০ বার এ নামটি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ সকল বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকবে। যে ব্যক্তি সর্বদা الخالق পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা একজন ফেরেশতা সৃষ্টি করে দেবেন; যে কিয়ামত পর্যন্ত তার ইবাদতে নিমগ্ন থাকবে, তার চেহারা আলােকিত থাকবে।

البارئ (আলবারিউ) : প্রাণদাতা , المصور (আল মুসওভিরু) আকৃতিদাতা।
উপকারিতা : বন্ধ্যা নারী যদি সাতদিন রােযা রাখে এবং পানি দ্বারা ইফতার করার পর ২১ বার البارئ المصور পাঠ করে, তাহলে ইনশাআল্লাহ তার পুত্র সন্তান লাভ হবে।

الغفار: (আল-গাফফারু) অধিক ক্ষমাকারী। |
উপকারিতা : যে ব্যক্তি জুমার নামাজের পর ১০০ বার এ নাম পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার উপর ক্ষমার নিদর্শন প্রকাশ হতে শুরু করবে। যে ব্যক্তি আসরের নামাজের পর একশত বার – يا غفار اغفرلي পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমাকৃত লােকদের দলে অন্তর্ভুক্ত করবেন ।

القهار: (আল-কাহহারু) পরাক্রমশালী, শক্তিধর।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি দুনিয়ার ভালাবাসায় আবদ্ধ হন অধিকহারে পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার হৃদয় থেকে দুনিয়ার প্রেম ভালবাসা ও মহত্ব উঠিয়ে দেবেন। তার পরিণাম শুভ হবে। আল্লাহর ভালবাসা তার হৃদয়ে সৃষ্টি হয়ে যাবে।

الوهاب: (আল-ওয়াহহাবু) সবকিছু প্রদানকারী, বিনিময় ছাড়া প্রদানকারী ।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি অভাবে লিপ্ত হবে, সে অধিকহারে এ নামটি পড়বে বা নিজের কাছে লিখে রাখবে, ইনশাআল্লাহ তায়ালা তাকে অভাব-অনটন থেকে এমনভাবে মুক্ত করবেন, সে মােটেও টের পাবে না। কোন ব্যক্তি চাশতে নামাজের পর সেজদার আয়াত পড়ে সেজদা করবে, তবে সে সৃষ্টজীব থেকে অমুখাপেক্ষী থাকবে। যদি কোন প্রকার প্রয়ােজন পড়ে, তাহলে বাড়িতে বা মসজিদের আঙ্গিনায় তিনবার সেজদা করে হাত উত্তোলন করবে এবং একশত বার الوهاب পড়বে, ইনশাআল্লাহ তার প্রয়ােজন পূর্ণ হয়ে যাবে।

الرزاق: (আর-রাযযাকু) সৃষ্টজীবের খাদ্য ব্যবস্থাকারী।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি সুবহে সাদিকের পর এবং ফজরের নামাজের পূর্বে নিজের ঘরের চার কোণে দশবার করে এ নামটি পড়বে, তার ঘরে কখনাে অসুস্থতা ও অভাব-অনটন আক্রমণ করবে না। পড়ার সময় ডান দিক থেকে শুরু করবে এবং কিবলামুখী হয়ে পড়বে।

الفتاح: (আল- ফাত্তাহু) কঠিন সমস্যার সমাধানকারী।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর উভয় হস্ত বক্ষদেশের উপর রেখে সত্তর বার এ নামটি পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার অন্তর ঈমানের জ্যোতি দ্বারা আলােকিত হয়ে যাবে।

العليم: (আল-আলীমু) মহাজ্ঞানী, যাহের ও বাতেনের জ্ঞানী।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি এ নামটি অধিকহারে পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করে দেবেন এবং কাশফের দ্বার উন্মােক্ত করে দেবেন। তবে শর্ত হল
যিকিরের পর একশত বার يا عليم الغيب পড়তে হবে।

القابض: (আল-কাবেছু) প্রত্যেক বস্তুতে বাধা প্রদানকারী ।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন এ নামটি চার লােকমা রুটির উপরে লিখে ভক্ষণ করবে, সে ক্ষুধা, পিপাসা ও ব্যথা-বেদনা ইত্যাদির কষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে এবং কবরের শাস্তি থেকে নিরাপদ থাকবে ।

الباسط: (আল বাসেতু) উন্মােচনকারী, প্রশস্ততা দানকারী ।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি চাশতের নামাজের পর আসমানের দিকে হস্ত উত্তোলনপূর্বক এ নামটি প্রতি দিন দশবার পাঠ করবে এবং মুখমণ্ডলের উপর হাত রাখবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে ধনী বানিয়ে দেবেন এবং কখনাে কারাে মুখাপেক্ষী হবে না।

الخافض: (আল-খাফেছু) অবাধ্যদেরকে অসম্মান ও অবনতকারী।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি প্রতি দিন ৫০০ বার يا خافض পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার প্রয়ােজনাদি ও সমস্যাদি দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি তিনটি রােজা রাখবে এবং চতুর্থ দিন এক স্থানে বসে ৭০০ বার الحافضপাঠ করবে, তাহলে ইনশাআল্লাহ শক্রর উপর জয়ী হবে।

الرافع: (আর-রাফেউ) অনুগতদেরকে সমুন্নতকারী। |
উপকারিতা : যে ব্যক্তি প্রতি মাসের চৌদ্দ তারিখের অর্ধ রজনীতে الرافع পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে সৃষ্টজীবের মধ্যে অমুখাপেক্ষী ও ধনাঢ্য করবেন।

المعز: (আল-মুয়িযযু) সম্মান দানকারী।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি মঙ্গল বার বা শুক্রবার মাগরিবের পর একশত চল্লিশ বার المعز পড়বে, লােকদের দৃষ্টিতে তার প্রভাব প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। সে আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কাউকে ভয় করবে না।

المذل: (আল-মুযিল্লু) অপমানকারী।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি কোন অত্যাচারী ও হিংসুককে ভয় পায়, সে সেজদায় গিয়ে পঁচাত্তর বার المذل পড়বে এবং বলবে অমুক অত্যাচারীর অনিষ্ট থেকে রক্ষা করুন। আলাহ তায়ালা তাকে অনিষ্টতা ও অমঙ্গল থেকে দূরে রাখবেন। যদি কোন বিশেষ শক্র থাকে তাহলে সেজদায় তার নাম নিয়ে হে আল্লাহ! অমুক অত্যাচারী অথবা শক্র থেকে নিরাপদ রাখুন। ইনশাআল্লাহ দুআ কবুল হবে।

See also  দোয়া : যে সকল লােকদের দোয়া কবুল হয়।

السميع: (আস-সমী’) অধিক শ্রবণকারী ।
উপকারিতা: যে ব্যক্তি শুক্রবার চাশতের নামাজের পর পাঁচশত, السميع নামটি পড়বে এবং পড়ার সময় কোন কথা বল না, অতঃপর দুআ করবে। আল্লাহ তায়ালা তার দুআ কবুল করবেন। যে বা শুক্রবারে ফজরের ফরয ও সুন্নতের মাঝামাঝিতে সঠিক আকীদা ও ধ্যান-ধারণা নিয়ে একশত বার এ নামটি পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখবেন।

البصير: (আল-বাসীরু) অধিক দ্রষ্টা।
উপকারিতা ও ব্যক্তি জুমার নামাজের পর ১০০ বার يا بصير পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার দৃষ্টিতে আলাে এবং অন্তরে জ্যোতি সৃষ্টি করবেন।

الحكيم: (আল-হাকামু) সৃষ্টজীবের বিচারক।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি শুক্রবার রাতে এ পরিমাণ পড়বে যে আত্মহারা হয়ে যাবে, তবে আল্লাহ তায়ালা তার অন্তরকে তার গােপন রহস্যের কর্ণ বানিয়ে দেন।

العدل: (আল-আদাল) ইনসাফগার ন্যায়পরায়ণ।
| উপকারিতা : যে ব্যক্তি শেষ রাতে ৯৯ বার ওজুসহ এ নামটি পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার অন্তরকে রহস্য ও জ্যোতির স্থল বানিয়ে দেবেন। যে ব্যক্তি জুমার দিনে বা রাতে এ নামটি বিশটি রুটির টুকরার উপরে লিখে ভক্ষণ করবে, আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টজীবকে তার অনুগত করে দেবেন।

اللطيف: (আল-লাতীফু) সূক্ষ্ম ।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি ১৩৩ বার يا لطيفপাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার খাদ্যে বরকত হবে এবং তার সব কাজ সুন্দরভাবে পূর্ণ হবে। যে ব্যক্তি অভাব-অনটন, দুঃখ-দুর্দশা, অসুস্থতা ও একাকীত্ব জীবনে সাথীহীন হয়ে পড়ে বা মেয়ের জন্য স্বামী পাচ্ছে না, ভাল করে ওজু করে দু’রাকাত নামাজ পড়বে। অতঃপর এ নামটি নিজের উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য একশত বার পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার উদ্দেশ্য পূরণ হবে।

الخبير: (আল-খাবীর) জ্ঞানী।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা : যে ব্যক্তি সাত দিন পর্যন্ত অধিকহারে এ নামটি পাঠ করবে, তার জন্য গােপন রহস্য প্রকাশ হতে শুরু করবে। যে ব্যক্তি কুপ্রবৃত্তি ও মন পূজায় লিপ্ত হবে সে যেন এ নামটি বার বার পড়ে। আল্লাহ চান তাে তার এ ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভ হবে।

الحليم:(আল-হালীমু) অত্যন্ত সহনশীল।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা : যে ব্যক্তি এ নামটি কাগজে লিখে ধৌত করবে এবং সে পানি শস্য ক্ষেত্রে অথবা সে জিনিসের উপর ছিটিয়ে দেবে বা মলবে আল্লাহ তায়ালা তার ফসল নষ্ট করবেন না, বরং সংরক্ষণ করবেন।

العظيم: (আল-আযীমু) মহান, শ্রেষ্ঠ বড় ও মহৎ।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি এ নামটি অনর্গল পড়তে থাকবে, লােকদের দৃষ্টিতে তার মর্যাদা-সম্মান ও শ্রেষ্ঠত্ব লাভ হবে।

الغفور: (আল-গাফুরু) অধিক ক্ষমাকারী।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা : যে ব্যক্তি কোন মাথার ব্যথায় আক্রান্ত হবে, সে এ নামটি কাগজে লিখে তার নকশা রুটির সাথে ভিজিয়ে খেয়ে ফেলবে, আল্লাহ তায়ালা তার চিন্তা ও পেরেশানী দূর করবেন। বিপদাপদ থেকে মুক্ত রাখবেন। একে বেশী বেশী করে পড়লে তার হৃদয় থেকে কলুষতা ও মলিনতা দূর হয়ে যাবে। যে ব্যক্তি নামটি অধিকহারে পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার সকল দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যাবে এবং সন্তান-সন্ততিতে বরকত হবে । সহীহ হাদীসে এসেছে, যে ব্যক্তি সেজদায় গিয়ে يا رب اغفرلي তিন বার পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তার আগের ও পেছনের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেবেন।

الشكور: (আশ শাকুর) ও মর্যাদাবান ।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা : যে ব্যক্তির অভাব-অন্টন বা হৃদয়ে পাপ-পঙ্কীলতা বা অন্ধকার আছে, এ নামটি একচল্লিশ বার পানির উপর ফুৎকার দিয়ে পান এবং চোখের উপর মালিশ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে আরােগ্য দান করবে।

العلي: আল-আলিয়) উচ্চ মর্যাদাশীল।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা : যে ব্যক্তি এ নামটি সর্বদা পড়তে থাকবে, লিখে নিজের সাথে রাখবে, ইনশাআল্লাহ মর্যাদার উচ্চতা, সচ্ছলতা ও উদ্দেশ্যে সফলতা লাভ হবে। যদি ব্যাকুল ও লাঞ্ছিত হয় আল্লাহ তায়ালা তাকে বুযর্গী দান করবেন। অভাবী হলে আল্লাহ তায়ালা তাকে ধনী বানাবেন। সফরে পথ হারিয়ে ফেললে আল্লাহ তায়ালা আপন ঠিকানায় পৌছে দিবেন।

الكبير: (আল-কাবীরু) মহান।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা : যে ব্যক্তি নিজ পদ থেকে অপসারিত হয়ে থাকবে, সে সাত দিন রােজা পালন করবে এবং প্রতিদিন এক হাজার বার পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ নিজ পদে বহাল হয়ে যাবে এবং মর্যাদা-সম্মান অর্জিত হবে। যে ব্যক্তি এ নামটি অধিক পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে সম্মানিত করবেন।কোন প্রশাসক বা রাষ্ট্রপতি পাঠ করলে সব লােক তাকে ভয় করবে এবং তার কাজগুলাে সুষ্ঠুভাবে আঞ্জাম পাবে।

الحفيظ: (আল-হাফীযু) তত্ত্বাবধায়ক, পর্যবেক্ষক।-(আসমাউল হুসনা)
আল্লাহ তায়ালা যেহেতু সমস্ত মাখলুককে বিপদাপদ থেকে বাঁচিয়ে রাখেন এ জন্য তাঁকে হাফীয বলে।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি অধিকহারে يا حفيظ পাঠ করবে এবং লিখে নিজের নিকট রাখবে, ইনশাআল্লাহ সে সব ধরনের ভয়-ভীতি ও অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে। যার জীন-পরীর আক্রমণ বা হারাম দৃষ্টিতে নিপতিত হওয়ার ভয় আছে, সে যেন এ নামটি লিখে নিজের বাজুর সাথে বেঁধে রাখে। ইনশাআল্লাহ সে এ সব বিপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।

المقيت: (আল-মুকীতু) সৃষ্টিরাজির খাদ্যের ব্যবস্থাকারী ।
উপকারিতা : কোন গরীব ব্যক্তিকে দেখলে বা নিজেই গরীব ও অসহায় হয়ে গেলে বা ছেলে অসৎ চরিত্রবান বা অধিক ক্রন্দন করলে সাত বার এ নামটি পড়ে খালি পাত্রে ফুক দিবে। অতঃপর তাতে পানি দিয়ে নিজে পান করবে বা অপরকে পান করাবে তাহলে তার উদ্দেশ্য সিদ্ধি লাভ করবে। কোন রােজাদারের রােজা রাখার কারণে ধ্বংসের ভয় হলে তাহলে এ নামটি পড়ে ফুলের উপর ফুঙ্কার দিয়ে ঘ্রাণ নিবে। ইনশাআল্লাহ শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং সে সহজে রােজা। রাখতে পারবে।

See also  যিকিরের আদব : কোরআন-সুন্নাহর আলোকে যিকিরের আদবসমূহ।

الحسيب: আল-হাসীবু) যথেষ্ট হিসাব গ্রহণকারী।
উপকারিতা : যে ব্যক্তির কোন ব্যক্তি বা জিনিসের ভয় হয় অথবা চোর, শত্রু, অসৎ প্রতিবেশী বা কু-দৃষ্টি লাগার ভয় পায়, সে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে আট দিন একাধারে সকাল-সন্ধ্যা حسبي الله الحسيب পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তাকে সে সব বস্তুর অনিষ্টতা থেকে রক্ষা করবেন।

الجليل: (আল-জালীলু) সম্মানিত, বুযুর্গ।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা: যে ব্যক্তি এ নামটি মেশক ও জাফরান দিয়ে লিখে নিজের কাছে রাখবে বা ধৌত করে পান করে নিবে, লােকেরা তাকে ইজ্জত-সম্মান করবে।

الكريم: (আল-কারীমু) বড় দানবীর, শরীফ, সুপারিশ ছাড়াই ক্ষমাকারী।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা : যে ব্যক্তি প্রতিদিন আপন শয্যায় এ নামটি বলতে বলতে শয়ন করে, ফেরেশতা তার জন্য এ সব শব্দ দেয়ে দুআ করতে থাকে—

اكرمك الله: আল্লাহ তায়ালা তােমাকে সম্মান করুন।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা: যে ব্যক্তি স্ত্রী-পরিবার ও অর্থ-সম্পদের হেফাযতের উদ্দেশ্যে এ নামটি সাত বার পড়ে ফুৎকার দিবে এবং يا قريب পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ সে শত্রু ও সব প্রকারের বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।

المجيب: (আল-মুজীবু) দুআ কবুলকারী, জাবাব প্রদানকারী।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা : যে ব্যক্তি অনেক বার يا مجيب পড়ে দুআ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার দুআ কবূল করবেন। নামটি লিখে নিজের কাছে রাখলে সে বিপদ থেকে মুক্তি পাবে।
الواسع: (আল-ওয়াসিড) প্রশস্ত।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি এ নামটি অধিক বার পড়বে, আল্লাহ তায়ালা ত প্রকাশ্য ও ভিতরগত অমুখাপেক্ষীতা ও বরকত দান করবেন।

الحكيم: (আল-হাকীমু) প্রজ্ঞাময়।
উপকারিতা : যে ব্যক্তি অধিক হারে يا حكيم পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জ্ঞান-বিজ্ঞানের দ্বার খুলে দেবেন। যে ব্যক্তির সম্মুখে কোন কাজ উপস্থিত হয় আর সে তা পূর্ণ করতে না পারে, তাহলে এ নামটি প্রতিনিয়ত পাঠ করলে সে কাজটি ইনশাআল্লাহ পূর্ণতা লাভ করবে।

الودود: (আল-ওয়াদূদ) অনেক ভাল বাসেন এমন। পুণ্যবান বান্দাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখেন।
উপকারিতাঃ যদি স্বামী-স্ত্রীর সাথে মিল না থাকে এবং পরস্পর তর্ক-যুদ্ধ বাধে, তাহলে এ নামটি এক হাজার বার পড়ে ফুৎকার দিবে। যার পক্ষ থেকে ঝগড়া সৃষ্টি হয়েছিল তাকে আহার করিয়ে দিবে। আল্লাহ চান তাে উভয়ের মাঝে সম্পর্ক গাঢ় ও নিবিড় হবে।

المجيد: (আল-মাজীদু) বড় মর্যাদাশীল, বুযুর্গ ।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা: যে ব্যক্তি কুষ্ঠ রােগ বা শ্বেত রােগে আক্রান্ত হয়, সে তের, চৌদ্দ, পনের তারিখে রােজা রাখবে, ইফতারের পূর্বে বেশী বেশী এ নামটি পড়ে পানির উপর ফুক দিয়ে পান করবে। ইনশাআল্লাহ সে আরােগ্য লাভ করবে। যে ব্যক্তি নিজ পরিবারে সম্মানিত হতে পারছে না, সে সকাল-সন্ধ্যায় এ নামটি। একশত বার পড়ে নিজের উপর ফুক দিবে, তাহলে সম্মানিত হবে।

الباعث: (আল-বায়িছু) মৃতদেরকে পুনর্জীবন দানকারী।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা : যে ব্যক্তি চাবে হৃদয় জীবিত হােক, সে যেন শয়নের সময় একশত এক বার এ নামটি বুকের উপর হাত রেখে পড়ে, ইনশাআল্লাহ তার। হৃদয় মারেফত দ্বারা জীবিত হয়ে যাবে।

الشهيد: (আশ-শহীদু) তিনি বিদ্যমান ও উপস্থিত।-(আসমাউল হুসনা)

উপকারিতা : যার স্ত্রী বা ছেলে-মেয়ে অবাধ্য হয়, সে যেন সকালে তার কপালের উপর হাত রেখে মুখ আকাশের দিকে করে একুশ বার يا شهيد পড়ে। আল্লাহ চান তাে সে পুণ্যবান ও অনুগত হয়ে যাবে।

الحق: (আল-হাক্কু) দৃঢ়, সত্য, সঠিক।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা : যে ব্যক্তি চার কোণ বিশিষ্ট কাগজের চতুষ্কোণে الحق লিখা কাগজটিকে সাহরীর সময় তালুর উপর রেখে আসমানের দিকে হাত উঠিয়ে দুআ করবে, ইনশাআল্লাহ যে কোন ব্যক্তি অথবা জিনিস পাওয়া যাবে এবং ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকবে। এ নামটি লিখে অর্ধ রজনীতে হস্ত তালুর উপর রেখে আকাশ পানে দৃষ্টি ফেলবে এবং এ নামটি দিয়ে দুআ করবে, তাহলে কাংখিত বস্তু পাবে বা এর থেকে উত্তম বস্তু। বন্দী অর্ধ রজনীতে মাথা খালি রেখে একশত বার পাঠ করলে সে বন্দী জীবন থেকে মুক্তি পাবে।

الوكيل: (আল-ওয়াকীলু) কার্য নির্বাহী।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা : যে ব্যক্তি যে কোন আসমানী বালা-মুসিবতের ভয়ের সময় অধিক হারে يا وكيل পাঠ করবে এবং এ নামটিকে নিজের উকীল বানিয়ে নিবে। ইনশাআল্লাহ সে সকল বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।

القوئ: (আল-কাভিয়ু) শক্তিশালী।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা : যে ব্যক্তি বাস্তবে নির্যাতিত, দুর্বল ও পরাজিত হয়, সে অত্যাচারী খামীরকৃত আটার এক হাজার গুলি বানাবে। ইয়া কাভিয়ু লিখে একটি একটি গুলি শক্র প্রতিহত করার নিয়তে মােরগের সামনে নিক্ষেপ করবে । আল্লাহ চান তাে শত্রু পরাজিত ও পিছপা হয়ে যাবে।

المتين: (আল-মাতীনু) মযবুত, দৃঢ়।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতাঃ যে মহিলার স্তনে দুধ না থাকে তবে তাকে আল-মাতীনু লিখে পানিতে ধৌত করে পানি পান করিয়ে দেবে। আল্লাহ চান তাে তার প্রচুর দুধ হবে।

الولي: (আল-ওয়ালীত্যু) বন্ধু, সাহায্যকারী।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা : যে ব্যক্তি এ নামটি অধিকহারে পড়বে, সে সৃষ্টজীবের গােপন তথ্য সম্পর্কে অবগত হবে। কোন ব্যক্তি যদি স্ত্রী বা বাদীর চরিত্র ও অভ্যাসে অসন্তুষ্ট থাকে, তবে তার সামনে যাওয়ার কালে এ নামটি পড়বে। ইনশাআল্লাহ সে উত্তম চরিত্রবান হয়ে যাবে।

الحميد: (আল-হামীদু) প্রশংসার উপযােগী।-(আসমাউল হুসনা)
উপকারিতা : যে ব্যক্তি ৪৫ দিন পর্যন্ত ধারাবাহিক ৯৩ বার নির্জনতায় يا حميد থেকে উত্তম কার্যাবলী প্রকাশ পাবে। যে ব্যক্তির মুখ থেকে অশ্রাব্য কথা প্রকাশ পায়, সে এ নামটি পাত্রে লিখবে এবং সর্বদা সে পাত্রে পানি পান করবে। আল্লাহ চান তাে সে অশ্রাব্য ও অসঙ্গত কথা থেকে মুক্ত থাকবে।

 

আরো জানুন: ইসমে আজম : আল্লাহর ইসমে আজম ও দোয়া কবুলে তার প্রভাব।

 

 

1 thought on “আসমাউল হুসনা:- আল্লাহ তায়ালার আসমাউল হুসনা নামের ফযিলত।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *