[et_pb_section fb_built=”1″ _builder_version=”4.16″ _module_preset=”default” global_colors_info=”{}”][et_pb_row _builder_version=”4.16″ _module_preset=”default” global_colors_info=”{}”][et_pb_column type=”4_4″ _builder_version=”4.16″ _module_preset=”default” global_colors_info=”{}”][et_pb_text _builder_version=”4.16″ _module_preset=”default” text_text_color=”#2c3e50″ text_font_size=”17px” global_colors_info=”{}”]
الخبر المشهور কাকে বলে এবং তা কত প্রকার ? المشهور والمستفيض এর মধ্যে পার্থক্য কী? বর্ণনা কর।
تعريف المشهور:
مشهور এর আভিধানিক অর্থ : مشهور শব্দটি শব্দ شهرة থেকে উৎকলিত । এটা اسم مفعول -এর সীগাহ। অর্থ হচ্ছে- প্রসিদ্ধ, ঘোষণাকৃত, প্রকাশিত। এ প্রকারের হাদীস সবার নিকট প্রসিদ্ধ বলে একে مشهور বলে।
مشهور –এর পারিভাষিক সংজ্ঞা :
১. মুফতি আমীমুল ইহসান (র) বলেন-
ان كان له طرق محصورة باكثر من اثنين ولم تبلغ المتواتر۔
অর্থাৎ, যে হাদীসের বর্ণনাকারীর সংখ্যা দু’য়ের অধিক, তবে তা মুতাওয়াতিরের পর্য়ায় পৌছেনি তাকে মাশহুর হাদীস বলে।
২. ড. মাহমুদ আত তহহান বলেন:-
هو ما رواه ثلاثة أو أكثر في كل طبقة ما لم يبلغ حد االمتواتر
৩. হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী (র) বর্ণনা করেন :-
ما له طرق محصورة باكثر من اثنين উদাহরণ : যেমন রাসূল (স)-এর বাণী إن الله لا يقبض العلم انتزاعا ينتزعه من العباد ولكن يقبض العلم بقبض العلماء উক্ত হাদীসের রাবী প্রত্যেক স্তরে দু’য়ের অধিক।
(المشهور ) মাশহুরের প্রকারভেদ :
মাশহুর মোট দুই প্রকার:
১. মাশহরে ইসতিলাহী ও
২. মাশহুরে লুগাবী।
নিম্নে প্রত্যেকটি পৃথক পৃথকভাবে উল্লেখ করা হলো।
মাশহুরে ইসতিলাহী-এর সংজ্ঞা : কিতাবে মাশহরের যে সংজ্ঞাটি উল্লিখিত হয়েছে, সেটি مشهور اصطلاحى -এর সংজ্ঞা। আর তা হলো, প্রত্যেক ঐ খবর যার সনদের কোনো স্তরে তিন-এর কম রাবী না হয় এবং এর মধ্যে মুতাওয়াতিরের শর্ত পাওয়া না যায়।
মাশহুরে লুগাবী-এর সংজ্ঞা : কখনো আভিধানিক অর্থ [ প্রসিদ্ধ ] বিবেচনায় ঐ খবরকেও মাশহুর বলা হয়, যেটা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে, ব্যাপকভাবে প্রসিদ্ধি লাভ করে। চাই এর রাবী তিনজন হোক বা বেশি হোক এমনকি এর কোনো সনদ না থাকলেও সেটা মাশহুর।
حكم المشهور:
১. خبر المشهور দ্বারা علم الطمانينة তথা অন্তরে প্রশান্তিমূলক জ্ঞান অর্জিত হয়।
২. এর দ্বারা কিতাবুল্লাহর (মহা গ্রন্থ আল কোরআন) ওপর زيادت তথা বৃদ্ধি করা বৈধ।
৩. এর অস্বীকারকারীকে কাফের বলা যাবে না। তবে সে بدعة ও ضلالة – এর মধ্য এ নিমজ্জিত হিসেবে গণ্য হবে।
الفرق بين الحديث المشهور والمستفيض :
মাশহুর ও মুস্তাফিয হাদীসের মধ্যকার পার্থক্য :
১. المشهور শব্দটি شهرة মাসদার থেকে اسم مفعول এর সীগাহ। এর অর্থ- প্রসিদ্ধ, ঘোষিত। অন্যদিকে مستفيض শব্দটি اسم فائل -এর সীগাহ। যার অর্থ হচ্ছে নির্ভরযোগ্য।
(২) যে হাদীসের বর্ণনাকারীর সংখ্যা দু’য়ের অধিক, তবে সর্বস্তরে সমান নয় তাকে হাদীসে মাশহুর বলে। পক্ষান্তরে যে হাদীসের বর্ণনাকারী দুয়ের অধিক, তবে সর্বস্তরে সমান তাকে حديث مستفيض বলে।
(৩) কেউ কেউ বলেন, উভয় হাদীসের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। উভয়ের মধ্যে نسية تساوى তথা সমতামূলক সম্পর্ক বিদ্যমান।
(৪) কতিপয় উসূলে হাদীসবিশারদের বক্তব্য হচ্ছে- حديث المشهور মুতাওয়াতির হাদীসের অন্তর্ভুক্ত নয়; কিন্তু حديث مستفيض মুতাওয়াতির হাদীসের অন্তর্ভুক্ত।
৫ কতিপয় উসূলবিদের বক্তব্য হচ্ছে-حديث مستفيض মুতাওয়াতির ও মাশহুর হাদীসের মধ্যবর্তী স্তরের। পক্ষান্তরে حديث المشهور হাদীসে مستفيضএর নিম্নস্তরের।
(৬ কতিপয়ের বক্তব্য হলো- مستفيض মাশহুর হাদীসের অপর নাম।
উপসংহার : হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে প্রত্যেক স্তরে বর্ণনাকারীগণের সংখ্যানুপাতে এর বিভিন্ন। প্রকার হয়ে থাকে। এর মধ্যে متواتر অন্যতম। এটা কুরআন সমতুল্য যা দলীলরূপে গণ্য। এরপরই المشهور -এর স্থান।
[/et_pb_text][/et_pb_column][/et_pb_row][/et_pb_section]