খলিফা আবদুল মালিক এর পরিচিতি, খিলাফত, সাম্রাজ্য সুদৃঢ়ীকরণ ও সম্প্রসারণ

খলিফা আবদুল মালিক এর সাম্রাজ্য সুদৃঢ়ীকরণ ও সম্প্রসারণ
The Consolidation and Expansion of the Empire by Khalifa Abdul Malik

পরিচিতি ও খিলাফত লাভ:
আবদুল মালিক ছিলেন প্রথম মারওয়ানের পুত্র। তিনি ছিলেন উমাইয়া বংশের পঞ্চম খলিফা। উল্লেখ্য, ইয়াজিদের পর ৬৮৩ খ্রিষ্টাব্দে তার পুত্র দ্বিতীয় মুয়াবিয়া উমাইয়া খিলাফত লাভ করেন। তিনি ছিলেন উমাইয়া বংশের শেষ খলিফা। তার স্বল্পকালীন শাসনামলের পর হাকামের পুত্র মারওয়ান ৬৮৪ খ্রিষ্টাব্দে উমাইয়া সিংহাসনে আরোহণ করেন। মারওয়ানের সিংহাসনে আরােহণের মধ্য দিয়ে উমাইয়া খিলাফতে ‘হারবীয়’ বা ‘মারওয়ানি’ শাখার রাজত্বের সূচনা ঘটে। ৬৮৫ খ্রিষ্টাব্দে মারওয়ান মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি নিজ পুত্র আবদুল মালিককে উত্তরাধিকারী মনােনীত করে যান। ৬৮৫ খ্রিষ্টাব্দে আবদুল মালিক দামেস্কের উমাইয়া সিংহাসনে আরােহণ করেন। খলিফা দ্বিতীয় মুয়াবিয়া ও প্রথম মারওয়ানের সংক্ষিপ্ত শাসনকাল রাজনৈতিকভাবে উল্লেখযােগ্য ছিল না। এরপর আব্দুল মালিক সিংহাসনে আরােহণ করে উমাইয়া বংশের শাসন সুদৃঢ় করেন। এজন্য তাকে উমাইয়া বংশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। সৈয়দ আমীর আলীর মতে, তিনি উৎসাহী, ষড়যন্ত্রে সিদ্ধহস্ত এবং ধর্মভয় বিবর্জিত ছিলেন। স্বীয় ক্ষমতা সুদৃঢ় করার জন্য তিনি অসাধারণ দক্ষতার সাথে আত্মনিয়ােগ করেন। আবদুল মালিককে রাজেন্দ্র বা Father of kings’বল। কেননা তার চার পুত্র পরবর্তী সময়ে উমাইয়া সিংহাসনে আরােহণ করেছিলেন। পি. কে. হিট্টি বলেন, আবদুল মালিক, তার উত্তরাধিকারী চারপুত্রের শাসনামলে দামেস্ক শৌর্যবীর্য ও গৌরবের চরম শিখরে আরােহণ করে।

বাধা-বিপত্তি মােকাবিলা ও উমাইয়া শাসন সুদৃঢ়ীকরণ:
খলিফা আবদুল মালিকের সিংহাসনারােহণ নিষ্কণ্টক ছিল না। সিংহাসনে আরােহণ করে তিনি চারদিক থেকে নিজেকে শত্রু পরিবেষ্টিত দেখতে পান। সিংহাসনের দাবিদার খালিদ বিন ইয়াজিদ ও আমর বিন সাইদের বিদ্রোহ, হেজাজে আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের প্রতিদ্বন্দ্বী খিলাফত প্রতিষ্ঠা, ইরাকে মুসাবের বিদ্রোহ, ইরাক, পারস্য ও মদিনায় খারেজি ও আলী (রা)-এর অনুসারীদের বিদ্রোহ, কুফায় মুখতারের নেতৃত্বে অনুশােচনাকারী দলের উমাইয়া বিরােধী তৎপরতা এবং রােমানদের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড আবদুল মালিকের ক্ষমতা তথা উমাইয়া শাসনের জন্য বিরাট হুমকির কারণ হয়ে দাড়িয়েছিল। তবে তিনি এতে মােটেই বিচলিত বােধ করেননি। বরং ধৈর্য, কৌশল ও সাহসের সাথে পরিস্থিতি মােকাবিলা করে উমাইয়া খিলাফতের ভিত্তি সুদৃঢ় ও সুসংহত করেন।

মুখতারের বিদ্রোহ দমন:
আল মুখতার ছিলেন আবু বকরের (রা) সেনাপতি আবু উবায়দার পুত্র। তিনি শিয়া মতাবল্বী এবং ইমাম হাসানের সহচর ছিলেন। মুখতার ছিলেন ধূর্ত ও ফন্দিবাজ। তিনি কারবালা হত্যাকাণ্ডের প্রতিশােধ ও প্রতিশােধ গ্রহণকার হিসেবে প্রায়শ্চিত্তকারী দলে যােগ দেন। মুখতার এ দলের সাহায্যে ইরাক ও পারস্য নিজের প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন। এক সময় তিনি মক্কায় নিজেকে খলিফা ঘােষণাকারী আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের সাথে সদ্ভাব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু আবদুল্লাহ তাকে ফন্দিবাজ ভেবে তার সাথে ঘনিষ্টতা করেননি। খলিফা আবদুল মালিক এ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ওবায়দুল্লাহ ইবন জিয়াদকে মুখতারের বিরুদ্ধে পাঠান। ৬৮৬ খ্রিষ্টাব্দে জাব নদীর (দজলার শাখা নদী) তীরে উভয়পক্ষের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধ প্রথম জাবের যুদ্ধ নামে পরিচিত। এ যুদ্ধে আবদুল মালিকের সেনাপতি ওবায়দুল্লাহ নিহত হন। সীমার ও ওবায়দুল্লাহকে হত্যা করে ইমাম হােসেনের হত্যার প্রতিশােধ নেওয়া হয়। জাবের যদ্ধে জয় লাভের পর মুখতার মেসােপটেমিয়া দখল করেন। এরপর তিনি পুনরায় আবদুল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ করে তার সাথে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী হন। কিন্তু আবদুল্লাহ মুখতারকে বিশ্বাস করেননি। তিনি তার ভাই বসরার আমীরকে মুসাবাকে মুখতারের বিরুদ্ধে পাঠান। ৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে মুসাব তাকে পরাজিত ও হত্যা করেন। ফলে আবদুল মালিক তার এক চরম শত্রর প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে রক্ষা পান।

See also  সিন্ধু বিজয়ের প্রত্যক্ষ কারণ টি লেখাে। ইতিহাসে সিন্ধু বিজয় কেনো গুরুত্বপূর্ণ?

খালেদ ও আমরের বিদ্রোহ দমন:
আবদুল মালিক সিংহাসনের দাবিদার খালিদ বিন ইয়াজিদকে প্রলোভন দেখিয়ে নিজের দলভুক্ত করেন। এ দিকে আবদুল মালিকের বাবার চাচাতাে ভাই আমর বিন সাঈদ ৬৮৯ খ্রিস্টাব্দে নিজেকে খলিফা বলে ঘোষণা করেন। আবদুল মালিক তাকে প্রলােভন দেখিয়ে রাজপ্রাসাদে ডেকে এনে হত্যা করেন।

সাবের বিরুদ্ধে অভিযান:
আবদুল মালিক তার প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের প্রতিনিধি ও ইরাকের শাসনকর্তা মুসাবের বিরুদ্ধে অভিযানের পূর্বে বাইজান্টাইন ও কুফাবাসীর সমর্থন আদায় করেন। তিনি সাপ্তাহিক ১,০০০ (এক হাজার) স্বর্ণমুদ্রা দেওয়ার অঙ্গীকারে বাইজান্টাইনদের সাথে সন্ধি করেন। অন্যদিকে, প্রলােভন দেখিয়ে কুফাবাসীরও সমর্থন আদায় করেন। এরপর তিনি স্বয়ং ৬৯১ খ্রিষ্টাব্দে মুসাবের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলে মুসাব পরাজিত ও নিহত হন। সমগ্র ইরাক পুনরায় উমাইয়া শাসনভুক্ত হয়।

আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের বিরুদ্ধে অভিযান:
মক্কা ও মদিনায় আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের সুদৃঢ় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আবদুল্লাহর জন্য আবদুল মালিক নিজেকে অনিরাপদ ভাবেন। তিনি হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে মক্কা ও মদিনা অভিযানের নির্দেশ দেন। ৬৯২ খ্রিষ্টাব্দে আরাফাতের যুদ্ধে আবদুল্লাহ পরাজিত ও নিহত হন। আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর আবদুল মালিক মুসলিম সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র অধিপতি হন। পি. কে. হিট্টি বলেন, “আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের মৃত্যুর সাথে সাথেই পুরােনাে বিশ্বাসের সাথে সর্বশেষ যােগসূত্র চিরতরে তিরােহিত হলাে এবং ওসমান হত্যার প্রতিশােধ গ্রহণ সম্পন্ন হলাে।” বস্তুত আবদুল্লাহর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আবদুল মালিক মুসলিম জাহানের একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। পূর্ব থেকে পশ্চিম সীমান্ত পর্যন্ত খিলাফতের প্রতিটি মসজিদে খলিফা হিসেবে তার নাম খুৎবায় পঠিত হতে থাকলাে।

খারেজি বিদ্রোহ দমন:
ধর্মান্ধ খারেজিরা শাবীব ইবনে ইয়াজিদের নেতৃত্বে অরাজকতা চালাতে থাকে। তারা বসরা, কুফা, মসুল প্রভৃতি শহরে আক্রমণ ও লুণ্ঠন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। প্রথমে মুহাল্লিবের সহায়তায় আবদুল মালিক তাদেরকে দমন করেন। ৬৯৫-৯৭ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে খারেজিরা নাফি ইবনে আহরাকের নেতৃত্বে পুনরায় বিদ্রোহ করলে হাজ্জাজ বিন ইউসুফের মাধ্যমে তাদের দমন করা হয়। খারেজি নেতা আহরাকসহ বহু খারেজি প্রাণ হারায় এবং অনেকেই আল আহসার মরুভূমিতে গিয়ে আত্মগােপন করেন।

See also  আশীর্বাদের চাবি : খলিফা সুলাইমানকে আশীর্বাদের চাবি বলা হয় কেন?

ইবনে আসাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ:
৬৯৯ খ্রিষ্টাব্দে সিজিস্তানের উমাইয়া গর্ভনর আব্দুর রহমান ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আল আসাত খলিফা আবদুল মালিকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘােষণা করেন। তার এ বিদ্রোহ আবদুল মালিকের জন্য এক ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি করে। ঠিক এ সময় কাবুলের রাজা জুনবিল খলিফাকে কর দিতে অস্বীকার করেন। তখন তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এ নিয়ে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ও ইবনে আসাতের মধ্যে মতবিরােধ সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত ৭০১ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে টাইগ্রিস নদীর তীরে মাসকিন নামক স্থানে উভয়ের মধ্যে এক ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে হাজ্জাজের প্রেরিত সুসজ্জিত বাহিনী ময়ূর বাহিনী নামে পরিচিত ছিল। ইবনে আসাত যুদে জুনবিলের কাছে আশ্রয় গ্রহণ করেন। পরে ৭০৫ খ্রিষ্টাব্দে হাজ্জাজ জুনবিলকে স্বপক্ষে আনেন, যার ফলে ইবনে আসাতকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়। এরূপে কাবুল আবদুল মালিকের শাসনাধীনে আসে।

সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ:
এশিয়া মাইনর ও মধ্য এশিয়ায় অভিযান:
আবদুল মালিকের সময় ৬৯৩ খ্রিষ্টাব্দে এশিয়া মাইনরে (বর্তমান তুরস্ক অঞ্চল) মুসলিম অভিযান চালানাে হয়। বাইজান্টাইন বাহিনী এন্টিওক দখল করলে মুসলিম বাহিনী তাদের বিতাড়িত করে এরজুরাম দখল করে। আবদুল মালিক কাবুলের একজন হিন্দু রাজাকে (তখন সেখানকার হিন্দু রাজাদের ’রাতবিল’ বলা হতাে) পরাস্ত করে এ এলাকা মুসলিম রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন।

উত্তর আফ্রিকা জয়:
খলিফা মুয়াবিয়ার সময় উকবা বিন নাফি ইফরিকিয়া বা উত্তর আফ্রিকা জয় করে কায়রােয়ান নগরী প্রতিষ্ঠা করেন। ৬৮৩ খ্রিষ্টাব্দে বার্বার নেতা কুসায়লা উকবাকে হত্যা করে ওই অঞ্চল থেকে মুসলমানদের বিতাড়িত করেন। সাম্রাজ্যে শান্তি স্থাপনের পর ৬৯৩ খ্রিষ্টাব্দে জুহাইরের নেতৃত্বে খলিফা আবদুল মালিক ইফরিকিয়ায় অভিযান পাঠান। তিনি বার্বার নেতা কুসায়লাকে হত্যা করে ইফরিকিয়া পুনরুদ্ধার করেন। কিন্তু বার্বার ও বাইজান্টাইনদের অতর্কিত আক্রমণে জুহাইর পরাজিত ও নিহত হন। অতঃপর ৬৯৮ খ্রিষ্টাব্দে হাসান বিন নােমানের নেতৃত্বে আরেকটি বিশাল বাহিনী প্রেরণ করা হয়। নােমান শত্রুদের পরাজিত করে কার্থেজ ও বার্কা দখল করেন। এভাবে আটলান্টিক উপকুল পর্যন্ত উমাইয়া আধিপত্য বিস্তৃত হয়।

See also  ওমর বিন আবদুল আজিজ কে পঞ্চম ধার্মিক খলিফা বলা হয় কেন?

কাহিনার পতন:
এ সময় কাহিনা নামে একজন নারী সেনাপতির নেতৃত্বে উত্তর আফ্রিকার পরাজিত বার্বারগণ একতাবদ্ধ হয়। দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত এই নারী মুসলিম বাহিনীর সাথে লড়াই করে টিকে ছিলেন। প্রাথমিক পর্যায়ে কাহিনা উত্তর আফ্রিকার শাসনকর্তা হাসান বিন নােমানকে পরাজিত করেন। পরে ব্যাপক অভিযানের মাধ্যমে ৭০৩ খ্রিষ্টাব্দে হাসান কাহিনাকে পরাজিত ও নিহত করেন। মুসলিম বাহিনীকে ২৫০০০ অশ্বারােহী সৈন্য সরবরাহ করার শর্তে মুসলিম সেনাপতি হাসান বার্বারদের সাথে সন্ধি করেন। ফলে উত্তর আফ্রিকায় বিদ্রোহ প্রশমিত হয় এবং প্রায় ১২,০০০ বার্বার গােত্রীয় সদস্য ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিম বাহিনীতে যােগদান করে। পি. কে. হিট্টি বলেন,২০ “অবশেষে এ নায়িকাকে চাতুরির মাধ্যমে পরাস্ত করা হয়। একটি কূপের কাছে তাকে হত্যা করা হয়। কূপটি এখনও তার নামানুসারে ‘বির আলকাহিনা নামে পরিচিত।”

বাইজান্টাইন সাম্রাজ্য জয়:
আবদুল মালিক একসময় বাইজান্টাইনদের ১,০০০ (এক হাজার) স্বর্ণমুদ্রা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে অপমানজনক সন্ধি করেছিলেন। কারণ তিনি গৃহযুদ্ধে ব্যস্ত ছিলেন। ৬৯২ খ্রিষ্টাব্দে আবদুল মালিক এ সন্ধি বাতিল করে গ্রিকদের সাথে যুদ্ধ আরম্ভ করেন। ৬৯২ খ্রিষ্টাব্দে রােমান সম্রাট দ্বিতীয় জাস্টিনিয়ান পরাজিত হন। এরপর দক্ষিণ আর্মেনিয়া, সাইপ্রাস মুসলিম দখলে আসে। উভয়ের মধ্যে কয়েক বছর যুদ্ধ চলে। এ যুদ্ধে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের বিশাল এলাকা মুসলমানদের দখলে আসে। দীর্ঘ বিশ বছর শক্তিশালী ও সুদৃঢ়ভাবে শাসন পরিচালনা করে খলিফা আবদুল মালিক ৭০৫ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

আরো জানুন: আব্বাসি আন্দোলন ও উমাইয়াবিরোধী তৎপরতা, সেই সাথে তাদের পরিচয় ।

আবুল আব্বাস আস সাফফাহ (রক্তপিপাসু) এর পরিচয়, চরিত্র ও কৃতিত্ব ।

খলিফা আবু জাফর আল মনসুর এর (৭৫৪-৭৭৫ খ্রি.) পরিচয়, চরিত্র ও কৃতিত ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *