যিকিরের আদব

যিকিরের আদব : কোরআন-সুন্নাহর আলোকে যিকিরের আদবসমূহ।

যিকিরের আদব-সমূহ ।
১. কুরআন-হাদীস বিশেষজ্ঞ আলিমগণ বলেছেন- যিকিরের স্থান পাক-পবিত্র এবং বিঘ্ন সৃষ্টিকারী বস্তু থেকে মুক্ত হওয়া অপরিহার্য।
. গুণাবলীতে যিকিরকারী গুণান্বিত হতে হবে ।
৩. মুখ সম্পূর্ণ পরিষ্কার হতে হবে। যদি মুখে কোন প্রকারের দুর্গন্ধ থেকে থাকে তাহলে মিসওয়াক করে দূরীভূত করবে। ( যিকিরের আদব এর মধ্যে অন্যতম।)
৪. যদি কোন স্থানে বসে যিকির করতে থাকে তাহলে কিবলামুখী হওয়া উচিত।
৫. যিকির করার সময় বিনয়, নম্রতা, গাম্ভীর্য ও একাগ্রতার সাথে যিকির করবে। ( যিকিরের আদব এর মধ্যে অন্যতম।)
৬. যে যিকির সে আদায় করছে তাতে চিন্তা-ভাবনা করে পড়বে এবং তার অর্থ বুঝার চেষ্ট করবে।
৭. যদি কোন বস্তু বুঝে না আসে তাহলে সেটা জ্ঞানীদের নিকট জিজ্ঞেস করে নিবে।
৮. যিকিরের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দ্রুত পড়ার চেষ্টা করবে না। এজন্য আলিমগণ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলাতে লা-এর আওয়াজকে টেনে পড়া মুস্তাহাব লিখেছেন।
৯. যিকির চাই ওয়াজিব হােক অথবা মুস্তাহাব হােক তা মুখ দ্বারা নিজের কানে শােনা যায় মতে শব্দ করে আদায় করতে হবে। ( যিকিরের আদব এর মধ্যে অন্যতম।)
১০. সর্বত্তোম যিকির হল কুরআনে কারীমের তিলাওয়াত। মােটকথা যেখানে যিকির করা সুন্নাত, সেখানে সে সুন্নাত আদায় করা উত্তম। যিকির শুধু তাসবীহ, তাহলীল ও তাকবীরে সীমাবদ্ধ নয়। যে কোন কাজ আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী হয় সেটাই যিকির। ( যিকিরের আদব এর মধ্যে অন্যতম।)
১১. আল্লাহর যিকিরের ফযীলত তাহলীল “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু” তাসবীহ “ছুবহানাল্লাহ”, তাকবীর “আল্লাহু আকবার” এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং যে কোন আমলে আল্লাহর আনুগত্যকারী হল আল্লাহর যিকিরকারী।
১২. যে ব্যক্তি রাসূল (সঃ) থেকে বর্ণিত যিকিরগুলাে সকাল-সন্ধা ও দিবা-রাত্রি বাধ্যতার সাথে পড়বে, তবে তাকে সর্বদা যিকিরকারী নারী-পুরুষদের মধ্যে গণ্য করা হবে। ( যিকিরের আদব এর মধ্যে অন্যতম।)
১৩, যার কোন ওজীফা রাত্রি-দিনে বা নামাজের পর বা কোন সময় নির্ধারিত থাকে, যদি তা ছুটে যায় তাহলে তা আদায় করবে। যখনই সম্ভ পড়বে। সর্বদা পড়ার অভ্যস্ত হবে, যাতে কোন সময় ছুটে না যায় ।

See also  الرحمن: (আর রাহমানু) আসমাউল হুসনা নামের ফযিলত।

 

আরো পড়ুন: দোয়া কবুলের সময় : কোন সময় দোয়া করলে আমাদের দোয়া বেশি কবুল হয়?

বিভিন্ন ইসলামিক বিষয় জানতে আমাদের সাইট ভিজিট করুন