[et_pb_section fb_built=”1″ _builder_version=”4.16″ global_colors_info=”{}”][et_pb_row _builder_version=”4.16″ global_colors_info=”{}”][et_pb_column type=”4_4″ _builder_version=”4.16″ global_colors_info=”{}”][et_pb_text _builder_version=”4.16″ text_font=”Times New Roman|800|||||||” text_text_color=”#2c3e50″ text_font_size=”15px” text_letter_spacing=”1px” text_line_height=”1.8em” header_2_text_color=”#2c3e50″ text_font_size_tablet=”” text_font_size_phone=”14px” text_font_size_last_edited=”on|phone” global_colors_info=”{}”]
প্রযুক্তি বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অবদান বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে।
প্রযুক্তি বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে সাধারনত তথ্য রাখা ও একে ব্যবহার করার প্রযুক্তিকেই বোঝানো হয়। তবে বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি আর এ সংখ্যার মধ্যে সীমিত নেই।
নতুন নতুন সব প্রযুক্তির সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে তথ্যপ্রযুক্তি এক ভিন্ন রূপ লাভ করেছে। এক্ষেত্রে যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা সর্বাধিক।
যোগাযোগ, টেলিযোগাযোগ, অডিও-ভিডিও কম্পিউটিং, সম্প্রচার সহ আরো বহুবিধ প্রযুক্তি এর সাথে যুক্ত হয়েছে ফলে এটি একটি আইসিটি বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
রেডিওর আবিষ্কার যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। আগে রেডিওতে শুধু কথা শোনা যেত।
এরপর টিভি আবিষ্কার এরফলে কথা ও ছবি একত্রে দেখা সম্ভব হয়।
টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে মাইক্রোওয়েভ মাধ্যমে রেডিও ও টেলিভিশন সম্প্রচার ব্যবস্থায় ঘটেছে। দারুন পরিবর্তন তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার।
আমূল পরিবর্তন সাধন করেছে আধুনিক ডিজিটাল ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি।
কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে আন্তঃমহাদেশীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এতে করে পৃথিবীর এক প্রান্তের একজন মানুষ ঘরে বসেই সরাসরি যোগাযোগ করতে পারছে অন্যপ্রান্তের একজন মানুষের সাথে।
পৃথিবী কে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সমগ্র বিশ্বে পরিণত হয়েছে একটি বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজে।
ইন্টারনেট আবিষ্কার নিঃসন্দেহে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক।
ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন ঘরে বসেই বিশ্বকে পাওয়া যাচ্ছে হাতের মুঠোয়। প্রচলিত চিঠির বদলে এসেছে ইমেইল এর ব্যবস্থা।
যার সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো করে পাঠিয়ে দেওয়া যাচ্ছে বিশ্বের যেকোন স্থানে।
ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন টেক্সট, ভয়েস, ও ভিডিও চ্যাটিং, ভিডিও কনফারেন্সিং, ব্রডকাস্টিং ভিওআইপি, অনলাইন অডিও ভিডিও স্পিকিং, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক প্রভৃতি কাজগুলো করা সম্ভব হচ্ছে।
অনলাইন রেডিও টিভির মতো সেবাগুলো প্রসার লাভ করেছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কোটি-কোটি ওয়েবসাইট তথ্যের সত্যতা কে আরও সহজ করেছে।
টেলিফোনের মাধ্যমে শব্দকে ইলেকট্রনিক ডেটাই রূপান্তিত করে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানে প্রেরণ করা যায়।
বর্তমানের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে শুধু শব্দ নয় লিখা, গ্রাফিক্স, স্থিরচিত্র ও চলচ্চিত্র সবকিছুকেই ডিজিটাল ফরমেটে নিয়ে ইলেকট্রনিক ডাটায় রূপান্তিত করে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থানে প্রেরণ করা যায়।
মডেমের মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে টেলিফোন লাইনের সংযোগ দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আরেক শক্তিশালী উদ্ভাবন হলো মোবাইল টেলিফোন।
মুঠোয় ধরে রাখা ঐ ফোনের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে কথা বলা যাচ্ছে।যেকোন স্থানে এ ফল বয়ে বেড়ানো যাচ্ছে।
আধুনিক স্মার্টফোন গুলো আরো বেশি সুবিধা দিচ্ছে হ্যান্ডসেট ইন্টার্নেট ব্রাউজিং, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং, সেবা গ্রহণ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও ধারন করে তা ইন্টারনেটে সরাসরি তুলে দেওয়ার কাজ গুলো করা যাচ্ছে।
এসএমএস বা খুদেবার্তার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্বের যেকোন স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া যাচ্ছে তথ্য।
আর এম এম এস এর মাধ্যমে প্রেরণ করা যাচ্ছে মাল্টিমিডিয়া সম্বলিত তথ্য।
শুধু তাই নয় জিপিএস বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম এর সেবা ও নেওয়া যাচ্ছে মোবাইল ফোনে।
স্মার্টফোনগুলো আজ চলছে অপারেটিং সিস্টেম। এই এক মোবাইল ফোনে যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন।
হ্যান্ডসেট গুলোতে আরো বেশি ইন্টারনেট নির্ভর সুবিধা নিয়ে এসেছে চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি যার সফল বাস্তবায়ন হলো WiMAX(Worldwide Interoperability of Access) এবং 3gpp LTE (Logn Term Evolution) স্ট্যান্ডর্ড
এতসব প্রযুক্তির সম্মেলনে তথ্যপ্রযুক্তি এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি এসেছে সমকেন্দ্রীকতায়।
এদের আর এখন আলাদা করে ভাবার কোন অবকাশ নেই। তাই এখন এই দুই প্রযুক্তি মিলেমিশে একক একটি প্রযুক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে যাকে বলা হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।
[/et_pb_text][/et_pb_column][/et_pb_row][/et_pb_section]