الغريب

الغريب এর সংজ্ঞা দাও । অত:পর এর প্রকারসমূহ ও হুকম বর্ণনা কর।

[et_pb_section fb_built=”1″ _builder_version=”4.16″ _module_preset=”default” global_colors_info=”{}”][et_pb_row _builder_version=”4.16″ _module_preset=”default” global_colors_info=”{}”][et_pb_column type=”4_4″ _builder_version=”4.16″ _module_preset=”default” global_colors_info=”{}”][et_pb_text _builder_version=”4.16″ _module_preset=”default” text_text_color=”#000000″ text_font_size=”18px” global_colors_info=”{}”]

[ عزف الغريب . ثم أذكر أقسامه و حكمه ]
” الغريب “ এর সংজ্ঞা দাও । অত:পর এর প্রকারসমূহ ও হুকম বর্ণনা কর।

উপস্থাপনা : সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (স)-এর কথা, কাজ ও মৌনসম্মতির নামই হাদীস। এটা শরীয়তের দ্বিতীয় উৎস এবং বিশ্বমানবতার জীবন চলার পাথেয়। মুহাদ্দিসগণ বর্ণনাকারীগণের হাদীস গ্রহণযোগ্য হওয়া ও না হওয়ার বিবেচনায় হাদীসসমূহকে কয়েকভাগে ভাগ করেছেন। সেগুলোর মধ্যে الغريب  অন্যতম। নিম্নে প্রশ্নালোকে  الغريب  পরিচয় তুলে ধরা হলো।

تعريف الغريب:

الغريب  আভিধানিক অর্থ : غريب  শব্দটি صفة مشبهة এর সীগাহ। এর অর্থ-منفرد  তথা একাকী, অপরিচিত, দুস্প্রাপ্য ইত্যাদি।

পারিভাষিক সংজ্ঞা :

১. মিজানুল আখবর গ্রন্থকার বলেন- فاذا انفرد الراوى فهو غريب  অর্থাৎ, যখন কোনো হাদীসের বর্ণনাকারী একজন হয় তাকে গরীব হাদীস বলে।

২. হাফেয ইবনে হাজার আসকালানী (র) বলেন- الغريب هو ما ينفرد بروايته شخص واحد فى ائ موضع  অর্থাৎ, غريب  ঐ হাদীসকে বলে, যে হাদীসের বর্ণনাকারী যে কোনো স্তরে শুধু একজন থাকে।

উদাহরণ : النهى واحد بيع الولاء এ হাদীসটি শুধু আবদুল্লাহ ইবনে দীনার হযরত ইবনে ওমর (রা) হতে বর্ণনা করেন।

হদীসে গরীব-এর প্রকারভেদ :

حديث غريب একাকীত্বের জায়গা হিসেবে দু’ভাগে বিভক্ত-

(১)  الفرد المطلق বা الغريب المطلق

(২)  الغريب النسبى  বা الفرد النسبى

(الفرد المطلق বা الغريب المطلق :

গরীবে মুতলাক-এর সংজ্ঞা : هو ما كانت الغراية في اصل سنده ائ ما ينفرد بروايته شخص واحد في اصل سنده  অর্থাৎ, যে হাদীসের মূল সনদেই غرابة তথা এক রাবী কর্তৃক বর্ণিত হয়। অর্থাৎ যে হাদীসের মূল সনদই একজন রাবী সূত্রে বর্ণিত, সেই হাদীসকে গরীবে মুতলাক বলা হয়।

See also  الخبرالمشهور কাকে বলে এবং তা কত প্রকার ? المشهور والمستفيض এর মধ্যে পার্থক্য কী? বর্ণনা কর।

গরীবে মুতলাক-এর উদাহরণ : হাদীস- “সকল কর্ম নিয়তের উপর নির্ভরশীল” এ হাদীসখানা হযরত ওমর (রা.) একাই বর্ণনা করেছেন। আর এই একাকী বর্ণনার ধারা সনদের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। আর এই একাকী বর্ণনার থেকে অনেক রাবী বর্ণনা করেছেন।

(الغريب النسبى  বা الفرد النسبى:

গরীবে মুতলাক-এর যে হাদীসের সনদের মধ্যস্থলে غرابة হয় অর্থাৎ মূল সনদে অনেক রাবী থেকে হাদীসখানা বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে ঐ সকল রাবী হতে একজন রাবীর বর্ণনার দ্বারা হাদীসটি মুনফারিদ হয়ে গেছে, উক্ত হাদীসকে গরীবে নসবী বলা হয়।

গরীবে নসবী -এর উদাহরণ : হাদীস- “হযরত মালিক যুহরী থেকে, আর যুহরী হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ আল মাথায় লৌহ নির্মিত যুদ্ধের টুপি পরিধান করে মক্কায় প্রবেশ করেছেন। এখানে মালিক জুহরী থেকে হাদীসখানা একাই/ একক সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

حكم الغريب :

হুকুম : এ হাদীস অন্য হাদীসের বিরোধী না হলে এর ওপর আমল করতে হবে।

গরীব হাদীসের রাবী যেমন বিশ্বস্ত হতে পারে, তেমনি দুর্বল বা গায়রে সিকাহও হতে পারে। এজন্য আলেমগণ এ ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করেছেন এবং বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছেন।

১. ইমাম আহমদ বলেছেন, لا تكتبوا هذا الحاديث الغرائب فانها مناكير “তোমরা গরীব হাদীসসমূহ লিপিবদ্ধ করো না। কননা ঐগুঃেলা মুনকার হাদীস।”

২. ইমাম মালেক (র.) বলেন, গরীব হলো খারাপ বিদ্যা। আর উত্তম বিদ্যা হলো প্রকাশ্য হাদীস, যা মানুষ বর্ণনা করে।

৩. ইমাম আবূ দাউদ বলেন, গরীব হাদীস দ্বারা দলিল গ্রহণ করা সমীচীন নয়। যদিও তা মালিক, ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ প্রমুখ বিশ্বস্ত রাবীগণ রেওয়ায়েত করেন।

৪.  ইবরাহীম নাখয়ী (র.) বলেন, আলেমগণ গরীব হাদীসকে মাকরূহ মনে করতেন। সুতরাং উপরিউক্ত বক্তব্যগুলো থেকে প্রতীয়মান হয় যে, গরীব হাদীস দ্বারা দলিল গ্রহণ করা যুক্তিযুক্ত নয়। তবে উক্ত হাদীসের সমর্থনে অন্য সূত্রে বর্ণিত কোনো হাদীস থাকলে গরীব হাদীস দ্বারা দলিল গ্রহণ করা প্রয়োজনের ভিত্তিতে বৈধ হবে।

See also  সহীহ হাদিস( الحديث الصحيح ) কাকে বলে? অতঃপর এর শর্তাবলি এবং হুকুম।

[/et_pb_text][/et_pb_column][/et_pb_row][/et_pb_section]