الحديث المعلق

الحديث المعلق এর সংজ্ঞা দাও। অত:পর এর হুকম সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা কর ।

[et_pb_section fb_built=”1″ _builder_version=”4.16″ _module_preset=”default” global_colors_info=”{}”][et_pb_row _builder_version=”4.16″ _module_preset=”default” global_colors_info=”{}”][et_pb_column type=”4_4″ _builder_version=”4.16″ _module_preset=”default” global_colors_info=”{}”][et_pb_text _builder_version=”4.16″ _module_preset=”default” text_text_color=”#000000″ text_font_size=”18px” global_colors_info=”{}”]

الحديث المعلق এর সংজ্ঞা দাও। অত:পর এর হুকম সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা কর ।

معلق  :  تعريف  الحديث المعلق শব্দটি تعليق   মাসদার থেকে  اسم مفعول এর واحد مذكر  এর সীগাহ এর আভিধানিক অর্থ হলো –

১.ঝলন্ত

২. বস্তু

৩. নিষ্ক্রিয় ব্যাক্তি বা বস্তু  যেমন আল কুরআনের বাণী- فتذرها كالمعلقة

معلق  এর পারিভাষিক সংজ্ঞা : মুআল্লাক হাদীসের পারিভাষিক সংজ্ঞায় ইমামদের বিভিন্ন বক্তব্য রয়েছে। যেমন-

১. হাজার ইবনে হাজার আসকালানী (র.) বলেন- الساقط ان كان من بدو السند من تصرف مصنف فهو المعلق  অর্থাৎ, কোনো গ্রন্থকারের ব্যবহারে যদি সনদের প্রথম থেকে রাবী অন্তরিত হয়ে যায়, তবে সেই হাদীসকে হাদীসে মুআল্লাক বলে।

২. আল্লামা মুফতি আমীমুল ইহসান (র.) বলেন- ان كان سقوط الراوى من ابتداء سواء كان الساقط واحد او اكثر و كذا اذا سقط جميع رجاله فالحديث معلق  অর্থাৎ, যদি এক বা একাধিক রাবী হাদীসের সনদের প্রথম থেকে অন্তরিত হয়ে যায়, অথবা সকল রাবী অন্তরিত হয়ে যায়, তবে এমন হাদীসকে হাদীসেকে معلق  বলে ।

৩. ড. মুহাম্মদ ইজায বলেন- المعلق و هو ما حذف من اول اسناده واحد فاكثر على التوالى

الحديث المعلق উদাহরণ :

(1) قال الإمام البخاری (رح) قال أبو موسى غطى التبی ركبتيه حين دخل عثمان

(2) قال یحی بن کثير عن عمر بن الحكيم بن ثوبان عن أبي هريرة (رض) قال إذا قاء فلا يفطر

معلق  হাদীসের হুকুম :

প্রকাশ থাকে যে, ইমাম বুখারী (র.)-এর অধ্যায়ের শিরোনামে ব্যবহৃত তা’লীকাত অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। কেননা, তিনি পবিত্র বুখারী শরীফে মুসনাদ হাদীস ব্যতীত অন্যকোনো হাদীস গ্রহণ না করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। তাছাড়া এ সকল তা’লীকাতের সনদ তাঁর কাছে ছিল। অধ্যায়ের শিরোনাম সংক্ষিপ্ত করার জন্যে তিনি এগুলোকে معلق  রূপে বর্ণনা করেছেন। সমকালীন অন্যান্য রাবীদের মুআল্লাক বর্ণনার বিধান সমতুল্য। যেমন সহীহ বুখারীর রেওয়ায়েত- قال بهز بن حكيم عن ابيه عن جده عن النبى صلى الله عليه و سلم  অথবা قال ابن مسعود اليقين اليمان كله এ হাদীসের সনদের প্রথম অংশের রাবীর নাম উল্লেখ নেই। বালাগ [ তথা যে হাদীসটি بلغنى  দ্বারা আরম্ভ করা হয় ] ও মুআল্লাকের অন্তর্ভুক্ত। যেমন ইমাম মালেক (র.)-এর মুয়াত্তা কিতাবের মধ্যে রয়েছে- بلعنى عن جابر انه سئل عن العمامة الخ  তিন যুগের [ যা কুরূনে ছালাছা নামে খ্যাত] অর্থাৎ সাহাবী, তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ীগণ এই তিন যুগের ثقة  ইমামগণের বালাগাত গ্রহণযোগ্য। যেমন- ইমাম আবু হানীফা, শাফেয়ী, মালেক, আহমদ, আবূ ইউসূফ ও মুহাম্মদ (র.) প্রমুখ এবং অনুরূপ ইমামগণের বালাগ হাদীস গ্রহণযোগ্য।

See also  আদালত ( عدالة ) কাকে বলে? عدالة বিনষ্ট হওয়ার কারণসমূহ উল্লেখ কর।

حديث معلق টা معلق  হওয়ায় তা মূলত মাকবুলই নয়; বরং মারদূদ। এর কারণ হলো, এর উহ্য রাবীর অবস্থা অজ্ঞাত থাকে। অর্থাৎ এটা জানা যায় না যে, উহ্য রাবী আদিল ও আয়ত্তশক্তির অধিকারী কিনা? তবে অন্যকোনো সনদে যদি উহ্য রাবীর নাম প্রকাশ পায় অথবা حديث معلق টা এমন কোনো কিতাবে বর্ণিত হয়, যার বিশুদ্ধতা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তখন বর্ণিত নিদর্শনের সুবাদে حديث معلق টি مقبول  হবে। আর যদি এমনটি না হয়, তাহলে তা মাকবুল হবে না।
[/et_pb_text][/et_pb_column][/et_pb_row][/et_pb_section]

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *