প্রচলিত রাজনীতি ও ইসলামী রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য

প্রচলিত রাজনীতি ও ইসলামী রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য:

রাজনীতি এবং ইসলামী রাজনীতি দুটি বিভিন্ন ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত। রাজনীতি পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন মতামত এবং নীতিমালা চর্চার বিষয়। আমি এখানে প্রচলিত রাজনীতি এবং ইসলামী রাজনীতির মধ্যে কিছু পার্থক্য উল্লেখ করব।

১. ধর্ম:
রাজনীতি প্রচলিত সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে ধর্ম একটি ব্যাপক উপাদান। বিভিন্ন দেশে প্রচলিত রাজনীতি মূলত গণতান্ত্রিক ও নিয়মানুযায়ী কর্মকাণ্ড বিষয়ক। ইসলামী রাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতার মাধ্যমে ইসলামিক নীতি ও শরিয়ত আলোচনা করে এবং ইসলামিক শর্তাদি অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনা করে।

 

২. শরিয়ত:
রাজনীতির প্রতিষ্ঠায় ইসলামী রাজনীতি শরিয়ত আলোচনা করে এবং শরিয়তের প্রণীত নীতি এবং নিয়মানুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করে। ইসলামী রাজনীতির উল্লেখযোগ্য একটি দিক হলো শরিয়ত বা ইসলামিক আইনের প্রয়োগ ও মানদন্ডপ্রণালী। এটি বিশেষত ইসলামিক শরিয়তের সূচনায় ভিত্তি করে এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে অন্যদের আহ্বান জানায়।

 

৩. সরকার পদ্ধতি:
প্রচলিত রাজনীতির অধিকাংশ মামলায় প্রজাতন্ত্র, পরম সত্তার জন্য বাণিজ্যিকতা, একটি নির্বাচিত সরকার ও মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা বেশি গুরুত্ব পায়। ইসলামী রাজনীতি বিশেষত কিছু মামলায় ইসলামিক সাম্প্রদায়িকতা, শাস্তি ও শরিয়তের প্রায়োগিক প্রয়োগ উল্লেখযোগ্য করে। ইসলামিক রাজনীতিতে সমাজ ও সরকারের সংগঠন, নেতৃত্ব, কার্যকারিতা এবং নীতিমালা বিশেষ ভূমিকা পায়।

 

৪. মৌলিক মূল্য:

প্রচলিত রাজনীতি সামাজিক ও রাষ্ট্রিক মূল্যগুলির পাশাপাশি ইসলামী রাজনীতি একটি আলোচ্য মৌলিক মূল্য বিষয়ক চর্চার কেন্দ্রে থাকে। এটি বিশ্বাস করে এবং প্রচার করে যে মানবিক মূল্যগুলি ঈশ্বরীয় উৎস থেকে আসে এবং এগুলির পালন প্রতিষ্ঠানে রাজনীতির মাধ্যমে হয়।

 

৫. সম্প্রদায়:
রাজনীতি প্রচলিত সামাজিক ও রাষ্ট্রিক মানসিকতার মধ্যে সম্প্রদায়ের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। রাজনীতি একটি ব্যক্তিগত বা সাম্প্রদায়িক মতামতের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক ও রাষ্ট্রিক গোষ্ঠীকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। ইসলামী রাজনীতি একটি ইসলামিক সাম্প্রদায়িক মতামত ও মানসিকতার উপর ভিত্তি করে এবং মুসলিম সমাজের আদর্শ ও প্রতিষ্ঠানগুলির পালন করার উদ্দেশ্যে কাজ করে।

See also  আবুল আব্বাস আস সাফফাহ (রক্তপিপাসু) এর পরিচয়, চরিত্র ও কৃতিত্ব ।

 

সাধারণত, প্রচলিত রাজনীতি এবং ইসলামী রাজনীতির মধ্যে কিছু পার্থক্য উল্লেখযোগ্য। প্রথমত, ধর্মের প্রভাব এবং ধর্মীয় নীতিমালা রাজনীতির বিভিন্ন দিকে প্রতিষ্ঠিত করে। দ্বিতীয়ত, ইসলামী রাজনীতিতে শরিয়তের প্রায়োগিক প্রয়োগ এবং শরিয়ত বাধ্যতামূলক সম্প্রদায়ের পালন রয়েছে। তৃতীয়ত, ইসলামিক রাজনীতি সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের লক্ষ্যে আহ্বান জানায় এবং সমাজ ও সরকারের সংগঠন, নেতৃত্ব, কার্যকারিতা এবং নীতিমালা বিশেষ ভূমিকা পায়।

এই পার্থক্যগুলি রাজনীতি ও ইসলামী রাজনীতির মধ্যে সাধারণত পর্যালোচনা করা হয়। তবে, এটি মানবিক মৌল্য, নীতিমালা, সমাজসেবা এবং রাষ্ট্রের পরিচালনায় প্রশাসনিক ও নীতিগত প্রভাব ফেলে থাকে।

 

আরো জানুন: