মেটাভার্স : ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ যখন মেটাভার্স । এ কথাটির প্রাথমিক ধারণা ।

মেটাভার্স : ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ যখন মেটা ভার্স । এ কথাটির প্রাথমিক ধারণা ।
আমরা অনেকেই ফেইসবুকের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে সেই ব্যাপারে শুনেছি। যদিও ফেইসবুকের নাম পরিবর্তন করা হয়নি, তার মাদার কোম্পানি হিসাবে মেটা এর নাম প্রকাশ করেছেন ফেইসবুকের প্রতিষ্ঠাতা। মেটাভার্স থেকেই মূলত মেটা এর সৃষ্টি। ফেসবুকের এই ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে আলোচনা চলছে ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে। তাই বিশেষজ্ঞরা ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ যখন মেটা ভার্স এটিকেই বেশি প্রাধান্য দিতেছেন।
আমরা এখানে মেটাভার্স সম্পর্কে আপনাকে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি বুজতে পারবেন কেন এত আলোচনা মেটা ভার্সকে নিয়ে এবং ইন্টেরনেট এর ভবিষৎ কেন মেটা ভার্স এটাও জানতে পারবেন।
মেটাভার্স কী?
বিশেষজ্ঞরা বলেন- ইন্টারনেটে ভার্চুয়াল জগতকে বাস্তব করে ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা থেকেই মেটা-ভার্স এর সৃষ্টি। মেটাভার্স এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল জগতে থেকেই আগের থেকে যোগাযোগের পরিমান বাড়বে এবং তা বহুমাত্রিক রূপ নিবে। বর্তমান মেটা-ভার্স প্রযুক্তির সাহায্যে আপনি ভার্চুয়াল কোনো কিছুর সাথে নিজেকে সহজেই জড়িয়ে ফেলতে পারবেন যা অনেক সুন্দর এবং বাস্তবভিত্তিক মনে হবে।
মেটাভার্স কথাটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয় ১৯৯২ সালে। স্নো ক্র্যাশ নামের একটি উপন্যাসে মেটা ভার্স নিয়ে আলোচনা করা হয় প্রথম। এতো বছর এটি নিয়ে কোনো কাজ না করা হলেও বর্তমানে ইন্টারনেট প্রুচুর উন্নতি হওয়ায় ফেইসবুক প্রতিষ্টাতা মেটা ভার্স নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মার্ক জাকারবার্গ এর মতে মেটাভার্স হলো বর্তমান ইন্টারনেটের পরবর্তী অধ্যায়।
মেটাভার্স কীভাবে কাজ করে
মনে করুন আপনি একটি ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রয় করবেন। কিন্ত  আপনি যেই গাড়িটি পছন্দ করেছেন সেটি আপনার থেকে অনেক দূর অথবা অন্য দেশে রয়েছে। সেই অবস্থায় আপনি মেটাভার্স ব্যবহার করে গাড়িটি চালানোর অভিজ্ঞতা পেতে পারেন।
অথবা আমরা অন্য ভাবে উদাহরণটি আপনাকে দিতে পারি। মনে করুন আপনি অনলাইন ই-কমার্স প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে কোনো ড্রেস পছন্দ করলেন। কিন্তু আপনি মেটা ভার্স এর মাধ্যমে সেই ড্রেসটি আপনার গায়ে কেমন দেখায় তা দেখতে পারবেন। তারপর আপনি সেই পণ্যটি অর্ডার করতে পারেন আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী।
বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে বিভিন্ন এপপ্স ব্যবহার করে ক্লাস এবং এক্সাম নিতেছে। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে আগামী কয়েক বছরে এটি আরো উন্নতি হবে এবং এক দেশে থেকে অন্য দেশের বিশবিদ্যালয়ে সহজেই ক্লাস করা যাবে। মনে হবে আপনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সামনে বসে আছেন এবং তার থেকে শিখতেছেন।
পুরো ব্যাপারটি কাল্পনিক অথবা মুভি এর মতো মনে হলেও আমরা অতি শিগ্রই এমন কিছুর সমুক্ষিন হতে যাচ্ছি। এই ধরনের প্রযুক্তি তৈরির কাজ আরো আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে। আমরা অদূর ভবিষতে এই ধরণের প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করবো।
মেটাভার্স পরিবর্তন আনবে যেসব ক্ষেত্রে
মেটাভার্স পরিবর্তন সব থেকে বেশি আনবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইনে যেকোনো পণ্য কেনাকাটায়। মেটাভার্স এর মাধ্যমে চোখে একটি চশমা পরিধান করে ভার্চুয়াল দুনিয়াতে প্রবেশ করা যাবে যা সম্পুর্ন্ন বাস্তব দুনিয়া মনে হবে। মার্ক জাকারবার্গ মেটা ভার্স সম্পর্কে যেসব দিকগুলো তুলে ধরেছেন সেগুলো নিচে দেওয়া হলো।
উপস্থিতি
অবতারণা
নিজস্ব ভার্চুয়াল স্পেস
টেলিপোরটিং
অন্তকার্যক্ষমতা
নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা
ভার্চুয়াল পণ্য [ই-কমার্স]
প্রাকৃতিক সুন্দোর্য
মেটাভার্স এর মাধ্যমে বাস্তব জগতের মতোই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে বিচরণ করা যাবে এবং অন্যদের সাথে নিমিষেই কাজ করা যাবে। বলা হয়  আগামী এক যুগ অথবা তার আগেই মেটা ভার্স এর অনেক কিছু মূল ধারার ইন্টারনেট এর সাথে যুক্ত হয়ে যাবে।
একটি মিডিয়া থেকে জানা যায় ফেসবুক ছাড়াও মেটাভার্স নিয়ে আরো কিছু প্রতিষ্টান কাজ করছে। বিশেষ করে মাইক্রোসফট এর মতো প্রতিষ্ঠান মেটাভার্স এর উন্নতি করার মাধ্যমে তাদের তৈরি করা পণ্যের মধ্যে নতুন ভ্যালু সংযোজন করার ঘোষণা দিয়েছে।
NVIDIA Studio মেটাভার্স নিয়ে কাজ করছে। EPIC Games কোম্পানি তাদের তৈরী করা ভার্চুয়াল গেম এর মাধ্যমে গেম এর দুনিয়াতে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।
মেটাভার্স নিয়ে কেন এতো আলোচনা
মেটাভার্স এর উন্নতি করার মাধ্যমে ইন্টারনেট দুনিয়ার অনেক বড় পরিবর্তন আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন। এর মাধ্যমে শুধুই ইন্টারনেট এর পরিবর্তন হবে তা নয়, বরং ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড এর সাথে ব্যবসা বাণিজ্যের সম্পর্ক বাড়িয়ে দিবে।
মেটাভার্স এর উন্নতি হলে এই সেক্টরের অনেক বিনিয়োগ বাড়বে এবং নতুন ব্যবসা এর দ্বার উন্মোচিত হবে। এটি আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের একটি বড় অংশ পরিণত হবে বলে আশা করা যায়। এটি নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যেও অনেক আলোচনা লক্ষ্য করা যায়।
কারণ এর মাধ্যমে বহুমাত্রিক যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে একটি বাস্তব ভিত্তিক অনুভব করা সম্ভব হবে। আপনি এটি ব্যবহার করে কোনো কিছু শুদু দেখতেই পারবেন এমন না, আপনি ওই জিনিসটি ধরে ফেলতেও সক্ষম হবেন বলে বলা হয়।
সাধারণ একজন ব্যবহার করি যখন একটি চশমা পরিধান করবে তখন সে একটি ৩ডি ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড এ ঢুকে যাবে। এর মাধ্যমে ফেসবুক মেসেঞ্জার এর ধারা কাউকে কল করলে মনে হবে সামনাসামনি আলাপ করা হচ্ছে। মেটাভার্স এর সুবিধার কারণে এটা নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। সাধারণ ব্যবহারকারিরা এটার সুবিধা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতেছেন।
মেটাভার্স এর সুবিধা পেতে আরো কত সময় লাগবে?
বর্তমানে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড নিয়ে আমরা অনেক কিছু দেখতে পাই। মেটা ভার্স এর ব্যাপারে এতদিন কল্পনা মনে হলেও অতি শিগ্রই আমরা এর সুবিধা পাবো বলে আশা করা যায়। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড এর উন্নতির সাথে সাথে মেটা ভার্স এর প্রুচুর উন্নতি সাধিত হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে আগামী ১০-১২ বছর এর মধ্যে মেটাভার্স এর পূর্ণাঙ্গ সুবিধা সাধারণ ব্যবহারকারীরা ভোগ করতে পারবে।
প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট এর গতি বাড়ানো হচ্ছে। এতে মেটাভার্স এর আগমনের ব্যাপারে আরো সুবিধা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শেষ কথা
মেটাভার্স ভার্চুয়াল দুনিয়াতে মারাত্মক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা যায়। বর্তমানের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ হিসাবে মেটা ভার্স কে আখ্যায়িত করে থাকেন। আপনি যদি একজন প্রুযুক্তি লাভার হন তাহলে মেটা ভার্স এর সুবিধা আপনাকে নতুন দুনিয়াতে নেওয়ার সুযোগ দিবে।
সেই সাথে আপনি যদি মেটা ভার্স নিয়ে কোনো ব্যাবসা করতে আগ্রহী হন তাহলে আজকে থেকেই মেটাভার্স সম্পর্কে আরো ধারণা নিতে শুরু করুন এবং নতুন কিছু তৈরি করার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করুন।

ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ যখন মেটাভার্স
আমরা অনেকেই ফেইসবুকের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে সেই ব্যাপারে শুনেছি। যদিও ফেইসবুকের নাম পরিবর্তন করা হয়নি, তার মাদার কোম্পানি হিসাবে মেটা এর নাম প্রকাশ করেছেন ফেইসবুকের প্রতিষ্ঠাতা। মেটাভার্স থেকেই মূলত মেটা এর সৃষ্টি। ফেসবুকের এই ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে আলোচনা চলছে ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে। তাই বিশেষজ্ঞরা ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ যখন মেটা ভার্স এটিকেই বেশি প্রাধান্য দিতেছেন।

আমরা এখানে মেটাভার্স সম্পর্কে আপনাকে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি বুজতে পারবেন কেন এত আলোচনা মেটাভার্সকে নিয়ে এবং ইন্টেরনেট এর ভবিষৎ কেন মেটাভার্স এটাও জানতে পারবেন।
মেটাভার্স কী?
বিশেষজ্ঞরা বলেন- ইন্টারনেটে ভার্চুয়াল জগতকে বাস্তব করে ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা থেকেই মেটাভার্স এর সৃষ্টি। মেটা ভার্স এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল জগতে থেকেই আগের থেকে যোগাযোগের পরিমান বাড়বে এবং তা বহুমাত্রিক রূপ নিবে। বর্তমান মেটাভার্স প্রযুক্তির সাহায্যে আপনি ভার্চুয়াল কোনো কিছুর সাথে নিজেকে সহজেই জড়িয়ে ফেলতে পারবেন যা অনেক সুন্দর এবং বাস্তবভিত্তিক মনে হবে।

মেটাভার্স কথাটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয় ১৯৯২ সালে। স্নো ক্র্যাশ নামের একটি উপন্যাসে মেটাভার্স নিয়ে আলোচনা করা হয় প্রথম। এতো বছর এটি নিয়ে কোনো কাজ না করা হলেও বর্তমানে ইন্টারনেট প্রুচুর উন্নতি হওয়ায় ফেইসবুক প্রতিষ্টাতা মেটাভার্স নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মার্ক জাকারবার্গ এর মতে মেটাভার্স হলো বর্তমান ইন্টারনেটের পরবর্তী অধ্যায়।

মেটাভার্স কীভাবে কাজ করে
মনে করুন আপনি একটি ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রয় করবেন। কিন্ত আপনি যেই গাড়িটি পছন্দ করেছেন সেটি আপনার থেকে অনেক দূর অথবা অন্য দেশে রয়েছে। সেই অবস্থায় আপনি মেটাভার্স ব্যবহার করে গাড়িটি চালানোর অভিজ্ঞতা পেতে পারেন।

অথবা আমরা অন্য ভাবে উদাহরণটি আপনাকে দিতে পারি। মনে করুন আপনি অনলাইন ই-কমার্স প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে কোনো ড্রেস পছন্দ করলেন। কিন্তু আপনি মেটা ভার্স এর মাধ্যমে সেই ড্রেসটি আপনার গায়ে কেমন দেখায় তা দেখতে পারবেন। তারপর আপনি সেই পণ্যটি অর্ডার করতে পারেন আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী।

বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে বিভিন্ন এপপ্স ব্যবহার করে ক্লাস এবং এক্সাম নিতেছে। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে আগামী কয়েক বছরে এটি আরো উন্নতি হবে এবং এক দেশে থেকে অন্য দেশের বিশবিদ্যালয়ে সহজেই ক্লাস করা যাবে। মনে হবে আপনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সামনে বসে আছেন এবং তার থেকে শিখতেছেন।

পুরো ব্যাপারটি কাল্পনিক অথবা মুভি এর মতো মনে হলেও আমরা অতি শিগ্রই এমন কিছুর সমুক্ষিন হতে যাচ্ছি। এই ধরনের প্রযুক্তি তৈরির কাজ আরো আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে। আমরা অদূর ভবিষতে এই ধরণের প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করবো।

মেটাভার্স পরিবর্তন আনবে যেসব ক্ষেত্রে
মেটাভার্স পরিবর্তন সব থেকে বেশি আনবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইনে যেকোনো পণ্য কেনাকাটায়। মেটা ভার্স এর মাধ্যমে চোখে একটি চশমা পরিধান করে ভার্চুয়াল দুনিয়াতে প্রবেশ করা যাবে যা সম্পুর্ন্ন বাস্তব দুনিয়া মনে হবে। মার্ক জাকারবার্গ মেটা ভার্স সম্পর্কে যেসব দিকগুলো তুলে ধরেছেন সেগুলো নিচে দেওয়া হলো।
উপস্থিতি
অবতারণা
নিজস্ব ভার্চুয়াল স্পেস
টেলিপোরটিং
অন্তকার্যক্ষমতা
নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা
ভার্চুয়াল পণ্য [ই-কমার্স]
প্রাকৃতিক সুন্দোর্য

মেটাভার্স এর মাধ্যমে বাস্তব জগতের মতোই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে বিচরণ করা যাবে এবং অন্যদের সাথে নিমিষেই কাজ করা যাবে। বলা হয় আগামী এক যুগ অথবা তার আগেই মেটা ভার্স এর অনেক কিছু মূল ধারার ইন্টারনেট এর সাথে যুক্ত হয়ে যাবে।

একটি মিডিয়া থেকে জানা যায় ফেসবুক ছাড়াও মেটা ভার্স নিয়ে আরো কিছু প্রতিষ্টান কাজ করছে। বিশেষ করে মাইক্রোসফট এর মতো প্রতিষ্ঠান মেটাভার্স এর উন্নতি করার মাধ্যমে তাদের তৈরি করা পণ্যের মধ্যে নতুন ভ্যালু সংযোজন করার ঘোষণা দিয়েছে।

NVIDIA Studio মেটা ভার্স নিয়ে কাজ করছে। EPIC Games কোম্পানি তাদের তৈরী করা ভার্চুয়াল গেম এর মাধ্যমে গেম এর দুনিয়াতে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।

মেটাভার্স নিয়ে কেন এতো আলোচনা
মেটাভার্স এর উন্নতি করার মাধ্যমে ইন্টারনেট দুনিয়ার অনেক বড় পরিবর্তন আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন। এর মাধ্যমে শুধুই ইন্টারনেট এর পরিবর্তন হবে তা নয়, বরং ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড এর সাথে ব্যবসা বাণিজ্যের সম্পর্ক বাড়িয়ে দিবে।

মেটা ভার্স এর উন্নতি হলে এই সেক্টরের অনেক বিনিয়োগ বাড়বে এবং নতুন ব্যবসা এর দ্বার উন্মোচিত হবে। এটি আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের একটি বড় অংশ পরিণত হবে বলে আশা করা যায়। এটি নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যেও অনেক আলোচনা লক্ষ্য করা যায়।

কারণ এর মাধ্যমে বহুমাত্রিক যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে একটি বাস্তব ভিত্তিক অনুভব করা সম্ভব হবে। আপনি এটি ব্যবহার করে কোনো কিছু শুদু দেখতেই পারবেন এমন না, আপনি ওই জিনিসটি ধরে ফেলতেও সক্ষম হবেন বলে বলা হয়।

সাধারণ একজন ব্যবহার করি যখন একটি চশমা পরিধান করবে তখন সে একটি ৩ডি ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড এ ঢুকে যাবে। এর মাধ্যমে ফেসবুক মেসেঞ্জার এর ধারা কাউকে কল করলে মনে হবে সামনাসামনি আলাপ করা হচ্ছে। মেটাভার্স এর সুবিধার কারণে এটা নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। সাধারণ ব্যবহারকারিরা এটার সুবিধা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতেছেন।

মেটাভার্স এর সুবিধা পেতে আরো কত সময় লাগবে?
বর্তমানে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড নিয়ে আমরা অনেক কিছু দেখতে পাই। মেটাভার্স এর ব্যাপারে এতদিন কল্পনা মনে হলেও অতি শিগ্রই আমরা এর সুবিধা পাবো বলে আশা করা যায়। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড এর উন্নতির সাথে সাথে মেটা ভার্স এর প্রুচুর উন্নতি সাধিত হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে আগামী ১০-১২ বছর এর মধ্যে মেটা ভার্স এর পূর্ণাঙ্গ সুবিধা সাধারণ ব্যবহারকারীরা ভোগ করতে পারবে।

প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট এর গতি বাড়ানো হচ্ছে। এতে মেটা ভার্স এর আগমনের ব্যাপারে আরো সুবিধা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শেষ কথা
মেটাভার্স ভার্চুয়াল দুনিয়াতে মারাত্মক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা যায়। বর্তমানের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ হিসাবে মেটা ভার্স কে আখ্যায়িত করে থাকেন। আপনি যদি একজন প্রুযুক্তি লাভার হন তাহলে মেটা ভার্স এর সুবিধা আপনাকে নতুন দুনিয়াতে নেওয়ার সুযোগ দিবে।

সেই সাথে আপনি যদি মেটাভার্স নিয়ে কোনো ব্যাবসা করতে আগ্রহী হন তাহলে আজকে থেকেই মেটাভার্স সম্পর্কে আরো ধারণা নিতে শুরু করুন এবং নতুন কিছু তৈরি করার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করুন।

 

 

আরো জানুন:  বিটকয়েন ইনকাম : বিটকয়েন উপার্জন করার সহজ উপায় সমূহ।

বিটকয়েন কোন কোন দেশে বৈধ? বিটকয়েনকে বৈধতা দেওয়ার কারণ?

বিটকয়েন আয়ের সেরা অ্যাপ | বিস্তারিত জানুন এবং উপার্জনের চেষ্টা করুন ।

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কী ও কেন? আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর গুরুত্ব।

 

1 thought on “মেটাভার্স : ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ যখন মেটাভার্স । এ কথাটির প্রাথমিক ধারণা ।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *